ঢাকা-৫ আসনে পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা, নবী উল্লাহ নবীর পক্ষে জনমতের স্রোত
সুমন চৌধুরী ও আশিকুর রহমান:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর ঢাকা-৫ আসনে পরিবর্তনের প্রত্যাশা তীব্র হয়েছে। দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চনা, অপরিকল্পিত নগরসেবা এবং সড়কে আধিপত্য-চাঁদাবাজির মতো সমস্যায় অতিষ্ঠ ভোটাররা এবার নতুন নেতৃত্বের খোঁজে তাকিয়ে আছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব নবী উল্লাহ নবীর দিকে।
যাত্রাবাড়ীতে কথা হয় অটোরিকশা চালক ফরহাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি নিয়ে বহু বছর ধরেই ভুগছি। নবী সাহেব ভালো মানুষ-তিনি চান রাস্তায় যেন কোনো চাঁদাবাজি না থাকে। গরিব মানুষের দিকে নজর রাখবেন, আমরা এটাই চাই।
একই এলাকার দোকানদার মিজান (৩০) জানান, নবী উল্লাহ নবী বহু বছর ধরে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে রয়েছেন। তিনি বিচক্ষণ রাজনৈতিক ব্যক্তি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সক্ষমতা তার আছে, বলেন তিনি।
এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েক বছরে ব্যবসা-বাণিজ্য মন্থর ছিল। গাড়ির ব্যবসা থেকে শুরু করে সবকিছুই খারাপ গেছে। তিনি (নবী উল্লাহ) এমপি হলে ব্যবসায় গতি ফিরবে বলে আশা করি। তিনি বলেন, ঢাকা-৫-এর বহু সড়ক এখন জরাজীর্ণ-নির্বাচিত হলে নবী সেগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে স্থানীয়দের প্রত্যাশা।
সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়ার পর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়। প্রতীক পাওয়ার পর সাংবাদিকদের নবী উল্লাহ নবী বলেন, চার দশক ধরে তিনি ঢাকা-৫ আসনে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত। স্বাধীনতার পর বহু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও এই আসনের মানুষ প্রকৃত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এলাকায় খেলাধুলার মাঠ নেই, নেই কোনো বিনোদন পার্ক বা সরকারি স্কুল-কলেজ। কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত নেই। ঢাকা শহরের পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে এই আসনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি জানান, দেশের আট বিভাগের যানবাহন যাত্রাবাড়ী দিয়ে চলাচল করে, পাশাপাশি গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ লাইনও এখান দিয়ে গেছে। এত গুরুত্বের জায়গা, কিন্তু উন্নয়ন কিছুই নেই, মন্তব্য তার।
নবী দাবি করেন, কখনো সংসদ সদস্য হতে তদবির করেননি তিনি। “দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনও শুরু হয়েছিল এই আসন থেকেই, বলেন তিনি। জনগণের চাহিদায় নমিনেশন পাওয়া উল্লেখ করে তিনি জানান, তার লক্ষ্য হবে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চনা দূর করা।
উল্লেখ্য, আলহাজ্ব নবী উল্লাহ নবী সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বৃহত্তর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন।
বিআলো/এফএইচএস



