তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে লক্ষাধিক নেতাকর্মী নিয়ে দিপু ভূঁইয়ার নেতৃত্বে জনসমুদ্র
মো.সিরাজুল ইসলাম,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রাজধানীর পূর্বাচল উপশহরে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর ঢল নামে। তারেক রহমান অভ্যর্থনা মঞ্চে উপস্থিত হলে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। এ উপলক্ষে পূর্বাচল উপশহরের ৩০০ ফিট সড়ক ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু–এর নেতৃত্বে লক্ষাধিক নেতাকর্মী পূর্বাচলের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে অংশ নেন। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুনসহ নানা স্লোগান সম্বলিত প্রচারণা সামগ্রী।
মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু রূপগঞ্জসহ সারাদেশ থেকে আগত নেতাকর্মীদের জন্য শতাধিক ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, শুকনো খাবার ও মেডিকেল টিমের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল, স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড হাতে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে এসে জড়ো হতে থাকেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানকে এক নজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন নেতাকর্মীরা। এতে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পূর্বাচল ও আশপাশের এলাকা।
দুপুরে তারেক রহমান অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এ ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চ নির্মাণ করা হয়, যেখানে রাজনৈতিক উৎসবের আবহ তৈরি হয়। নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পূর্বাচল উপশহর ও রূপগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা।
সকালের দিকেই কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রংপুর, বগুড়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে পৌঁছান। দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চযোগে আগত নেতাকর্মীদের শীতলক্ষ্যা নদীর কাঞ্চন ব্রিজের নিচে নামানো হয়। এ ছাড়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও ফেনী থেকেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। নেতাকর্মীদের জন্য চার শতাধিক ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা রাখা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন,
“এটি শুধু একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটি একটি জাতীয় উৎসব। আমাদের কাছে এটি অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন,
“বাংলাদেশের প্রাণ তারেক রহমান। আজ ৩০০ ফিট এলাকায় যে জনসমুদ্র সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রমাণ করে বাংলার মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসে। আজকের এই সমাবেশ ইতিহাস হয়ে থাকবে।”
রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন,
“আজ বাংলাদেশ হাসছে। ১৭ বছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি এ দেশের নেতৃত্ব দেবেন।”
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু বলেন,
“আজ সারা দেশ জানে— তারেক রহমান দেশে আসছেন মানেই গণতন্ত্র ফিরে আসছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের অবরুদ্ধ জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ দেশের মানুষ বুক ফুলিয়ে চলবে। আমি আমার সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের রূপগঞ্জের কর্মীরা নিজ উদ্যোগে পানীয় জল, কলা ও নাস্তা বিতরণ করেছে— এটিই আমাদের দলের ঐক্য ও সৌন্দর্য। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।”
বিআলো/ইমরান



