৩ মাসেও চালু হয়নি নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস, ভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন বছর আগে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংস্কার কাজ না হওয়ায় তিন মাস যাবত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়ন ও নতুন পাসপোর্ট করতে আগ্রহী সেবা গ্রহীতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া আগুনে আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। দ্রুত পাসপোর্ট অফিস চালু করার দাবি ভুক্তভোগী জেলাবাসীর।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাত নয়টার দিকে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রধান ফটকের তালা ভেঙে শত শত দুর্বৃত্ত ভেতরে ঢুকে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে চার তলা ভবনটিতে। তিন দিন ধরে আগুন জ্বলে ভবনটি। ভবনের প্রতিটি কক্ষে লুটপাট করা হয়। আগুনে ভবনের সার্ভার স্টেশন, কম্পিউটার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও যাবতীয় নথিপত্রসহ গ্রাহকদের আট হাজার তৈরি পাসপোর্ট সবকিছু পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ব্যবহার করার মতো অবশিষ্ট কিছুই ছিল না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় তিন কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। এ ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পুরো জেলাবাসী।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকার নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি। আন্দোলনে পুড়িয়ে দেয়ার আগে প্রতিদিন জেলা সদরসহ সব উপজেলা থেকে কমপক্ষে তিন থেকে চার হাজার গ্রাহক বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে আসতেন। এ জেলার গ্রাহকদের জন্য পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদী পাসপোর্ট অফিসে অঞ্চলভিত্তিক সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হলেও অধিক দূরত্ব ও গ্রাহকদের চাপের কারণে যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না এই জেলার গ্রাহকরা। সেখানে ছবি তুলতে ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার জন্য কয়েকবার গিয়েও দীর্ঘ লাইনের কারণে অনেকে ফিরে এসেছে।
অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসটি সংস্কার করে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম চালু করার দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসান আগামী নভেম্বরে কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান।
বিআলো/তুরাগ