তিস্তার চুক্তি নিয়ে ভারত অত্যন্ত আন্তরিক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারত সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে সমঝোতা আসবে।
রবিবার (৯ জুন) রাতে ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে প্রেস ব্রিফিং শেষে সময় সংবাদকের কাছে তিনি এ আশার কথা জানান।
শপথ অনুষ্ঠান ও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের শপথগ্রহণ অতি সাধারণভাবে এবং অল্প সময়ের জন্য হয়। প্রথমে সব মন্ত্রীরা পরে প্রতিমন্ত্রীরা একসঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করেন। এখানে ৭২ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রত্যেকে আলাদা শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে হর্ষধ্বনি ও স্লোগানও হয়েছিল। এগুলো চমকপ্রদ এবং নতুন মনে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আগে ছিল না। শপথ অনুষ্ঠানটা অত্যন্ত চমৎকার ছিল। প্রায় ১০ হাজার মানুষের সমাগম ছিল। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। সেখানে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা তিনি আমাকে জানিয়েছেন। আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে নিশ্চয়ই আমাদের সম্পর্ক গভীরে পতিত হবে। এতে দুদেশের মানুষ উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমদের সঙ্গে ভারত সরকারের চুক্তি হয়। তাই ভারত সরকারের কোন রাজ্যের সঙ্গে কী, সেটা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারত সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ। আশা করছি, ভবিষ্যতে এই তিস্তা ইস্যুতে অবশ্যই একটি সমঝোতায় উপনীত হবো।
সন্ধ্যায় সুসজ্জিত গাড়িবহরে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসা হয় রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলে। এসময় সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু নাতনি এবং ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। রাজকীয় এই আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুও উপস্থিত ছিলেন।
বিআলো/শিলি