তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে সরকার: উপদেষ্টা আসিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণের মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর করায় তৈরি পোশাক শিল্পে এখন কর্মপরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণের মাধ্যমে তাদের অসন্তোষ দূর করতে সক্ষম হয়েছি। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে এখন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ বুধবার সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এক বৈঠকে একথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে। এই আন্দোলনে ১শ’জনের অধিক শ্রমিক প্রাণ দিয়েছেন। এখনো অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার দায়ভার সরকার বহন করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, ট্রানজেকশন পিরিয়ড খুব সহজ নয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতে শ্রমিকদের মধ্যে কিছু অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণের মাধ্যমে তাদের অসন্তোষ দূর করতে সক্ষম হয়েছি। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে এখন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের দায়িত্ব এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বৈঠকে উভয়ের মধ্যে শিশুশ্রম, শ্রম আইন, গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ তৈরি, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক, সামাজিক সুরক্ষাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
ক্রীড়ার প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্য সকল খেলার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করছি। যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা স্পোর্টস ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছি, যার কার্যক্রম চলমান। এই ইনিস্টিটিউটে ব্রিটিশ সরকারের কারিগরি সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।
বিআলো/তুরাগ