দাদার সাজানো বাগানে হায়নাদের আনাগোনা: আশিকুর রহমান
একটি বাগান ধ্বংস করার জন্য একটি হুতোম প্যাঁচাই যথেষ্ট, কিন্তু গাছের ডালে ডালে যদি হুতোম প্যাঁচা বসতে চায়, তাহলে সেই বাগানের কি অবস্থা হবে? সেটা সাধারণতই বোঝা যায়, সেই বাগানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যেমন সম্ভব নয়, পুনরায় সে বাগান তৈরি করাও সম্ভব নয়।
কয়েক বছর আগেও মেরাজনগর মোহাম্মদবাগ,কদমতলী ছিল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন স্পষ্ট ও ঘাঁটি। দিন দুপুরে ঘটতো এখানে ডাকাতির মত কর্মকাণ্ড। একই সাথে এলাকার রাস্তাঘাট গুলোর অবস্থা ছিল বেহাল, যা জনজীবনে এমন দুর্ভিক্ষ নিয়ে আসতো যা বলে বুঝানোর মত নয়! সন্ধ্যা হলেই মানুষ ভয়েতে ঘরে চলে যেত, অতীব জরুরী ছাড়া কেউ রাতে বের হতো না, এমনকি অল্প একটু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো, এমনকি কোমর সমান পানি পাড়ি দিয়ে মানুষের চলাচল করা লাগতো, তার পাশাপাশি চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, জমি দখল বর্বরতার অসামাজিকতার চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিল।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস, তৎকালীন সেই বর্বর সমাজটাকে আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে সাধারণ জনগণের ভোটে ডিএসসিসির নতুন ওয়ার্ডের প্রথম কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন আকাশ কুমার ভৌমিক। তখনকার সময় তার কাঁধে এক গুরুদায়িত্ব পড়ে যায় যে দায়িত্ব পাহাড় সমান। কিন্তু তিনি প্রথম ধাপেই অকুতোভয় দুর্বার গতিতে মেরাজনগর, মোঃবাগ, কদমতলী, ঢাকা ম্যাচ ও ৫৯ নং ওয়ার্ড এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট গুলো নতুন করে চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করে দেন। সেইসাথে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত গড়ে তোলার অবকাঠামো নির্মাণ করেন এবং এই এলাকার মাদক বানিজ্য, জমি দখল মুক্ত করে আধুনিক সমাজে রূপান্তরিত করেন। রাতে নির্বিঘ্নে যাতে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে পারেন তার জন্য ডিএসসিসির সহযোগীতায় ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করেন। এরপর হতে এলাকায় আসে আমুল পরিবর্তন।
এলাকাটি যখন সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত, কিশোর গ্যাংমুক্ত হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে। তখন স্থানীয় কাউন্সিলর উদ্যোগ নেন ৫৯ নং ওয়ার্ডটিকে আধুনিক নগরীর অত্যাধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার। কিন্তু তখনই আসে মহাকালীন চরম বিপত্তি। সে সময়ে সারা পৃথিবী যখন করোনার মহামারিতে টালমাটাল। বাংলাদেশও তার থেকে ব্যতিক্রম ছিলো না। ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিলো আইসিডিডিআরবি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনার মহামারীতে যখন সকলের কর্মজীবন থমকে দাঁড়ায় মানুষ পড়ে যায় এক মহা ক্রান্তিলগ্নে, সেই ক্রান্তি লগ্নে ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক দাদা তিনি অন্যদের ন্যয় ঘরে বসে থাকেননি। তিনি সেসময় করোনকালীন সম্মুখ যোদ্ধা হয়ে তার ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ৩৩ হাজার পরিবারের মাঝে তিনি তার নিজ অর্থায়নে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন সেই দুর্দিনের কথা ওই পরিবারগুলো কখনো ভুলবে না।
শুধু করোনা মহামারীতে নয়, সাধারন জনগণের পাশে সবসময় ছিলো আমাদের কাউন্সিলর। যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন ‘ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা’ এবং পবিত্র মাহে রমজানে সাধারণ জনগণের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছেন এবং ঈদ উপহার হিসেবে শারী কাপড় লুঙ্গি থ্রি পিস প্রদান করেছেন অথচ আজ দাদার এই মহান কাজগুলিকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল, সাধারণ জনগণের দুশমন, বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে, দাদার বিরুদ্ধে এক মহাচক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন, এই চক্রান্ত শুধু দাদার বিরুদ্ধে নয় সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে।
অর্থাৎ বাংলাদেশের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যেই লক্ষ্য প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে টিসিবির পণ্য সাহায্য সেবা সহযোগিতা পৌঁছে যাবে, সেই মহতি কাজকে তারা এখন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। সাধারণ জনগণ ভালো থাকুক সেটা তারা সহ্য করতে পারছে না, কারণ দুস্কৃতিকারীরা জানেন তারা যদি তাদের এই ন্যাক্কারজনক প্রচেষ্টায় সফল হয়, তাহলেই তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে, জমি দখল করতে পারবে, চাঁদাবাজি করতে পারবে, মাদক বাণিজ্য করতে, ফুটপাত চাঁদাবাজী করে মানুষের উপরে জুলুম নির্যাতন চালাতে পারবে।
আসন্ন কাউন্সিলর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দাদার
সেই সুন্দর সাজানো বাগানে হায়েনাদের আনাগোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কেননা তারা বিগত ৬ বছর কোনো ধরনের অন্যায় অপরাধ কালোবাজারি মাদক বাণিজ্য জমি দখল এগুলো কিছুই করতে পারিনি। এবং মুষ্টিমেয় কিছু অপসংবাদিকদের নিয়ে দাদার বিরুদ্ধে দাদার এই সুন্দর মহৎ কাজগুলিকে ভিন্নদিকে উপস্থাপন করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই আমি বলবো, এই অপপ্রচার ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শুধু নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই হয়ে যাচ্ছে।
একটি কথা না বললেই নয় সকলের অবগতির জন্য আমি বিশেষভাবে অবহিত করছি ,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি এই মিডিয়ার অপপ্রচারের কথা শুনে দেশ চালাতো, তাহলে এই দেশ ১০০ বছর পিছিয়ে যেতো, যা নিঃসন্দেহে বাস্তবিক। যারাই দাদার এই উন্নয়নের যাত্রা কে ব্যাহত করতে চান, তারা ভাবেন এই মিডিয়ার অপপ্রচারের মাধ্যমে উপর মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তাদেরকে বিশেষভাবে একটি জ্ঞানমূলক কথা আমি বলে দেই সেটি হল জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন ‘কোন ওয়ার্ডের কোন নেতাকর্মী কি কাজ করেন প্রতিদিন? আমি জানি।
আপনারা ভাবতে পারেন এত অপপ্রচারের পরেও কেন দাদার এই উন্নয়নে বাধা দেয়া যাচ্ছে না কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি নেতাকর্মী এবং কাউন্সিলর মহোদয়ের কর্মকাণ্ড তিনি তদারকি করে থাকেন, যখন নেত্রী দেখেন সাধারণ জনগণের জন্য জনপ্রতিনিধিরা কিভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তখন তার এই উন্নয়নকে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবেনা, আপনারা যতই চেষ্টা করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আকাশ কুমার ভৌমিক দাদাকে বিভিন্নভাবে হেও প্রতিপন্ন করবেন তাদের সেই লক্ষ্য জনগণ বাস্তবায়ন হতে দেবে না, কারণ জনগণের শক্তির কাছে, জনস্রোতের কাছে জনসমর্থনের কাছে মুষ্টিমিও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কখনোই সফল হবে না।
৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আকাশ কুমার ভৌমিক দাদা আছে বলেই এই এলাকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে কোন ধরনের চাঁদাবাজি মাদক বাণিজ্য হয়রানি হচ্ছে না এ মানুষ নামক হায়না গুলি তারা ক্ষমতায় যেতে চায়, যদি তারা ক্ষমতায় যায় তাহলে এই এলাকার শান্তি সুশীল সমাজ আধুনিক সমাজ আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে, তখন মানুষ টের পাবে ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক দাদা কেমন ছিল? তিনি জনগণের জন্য কি করে গিয়েছিলেন? আমি একজন ক্ষুদ্র সংবাদকর্মী মোঃ আশিকুর রহমান সকলের কাছে কৃতজ্ঞ, যদি পারেন এই বিষয়টি শেয়ার করে দিবেন, সকলকে ধন্যবাদ আমাদের ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আকাশ কুমার ভৌমিক মানবিক কাউন্সিলর দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং তৃণমূল সাধারণ জনগণ আপনাকে ছাড়া আর কাউকে এ এলাকার অভিভাবক হিসেবে মেনে নিতে পারবে না।
মন্তব্য প্রতিবেদন
মো. আশিকুর রহমান
ষ্টাফ রিপোর্টার ( দৈনিক স্বাধীন সংবাদ)
বিআলো/নিউজ