দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
২৬ মে, রবিবার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্ট্যান্ডিং অর্ডার অনুসারে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি যে সমস্ত অবকাঠামো আছে সেগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেবেন। সেভাবে তারা সে সমস্ত ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেই সময় অর্থাৎ দুর্যোগ চলাকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনায় হবে। অর্থাৎ সেই সময় স্থগিত থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। এক্ষেত্রে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রবিবার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঘুর্ণিঝড় অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যায় অগ্রভাগ অতিক্রম শুরু হবে, মধ্যরাতে মূল ঝড় অতিক্রম করবে। হয়তো ভোরের ভেতরে শেষ হবে।
তিনি জানান, স্কুলগুলো খোলা থাকবে। কর্তৃপক্ষ স্কুলে থাকবে যাতে মানুষ আসলে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু ক্লাস বন্ধ থাকবে। শুধু আশ্রয়ের জন্য। এটা শুধু উপকূলের জন্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
দেশের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের অর্ডার নিয়ে একটি চক্র আটকে রাখছে বলে অভিযোগ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা একসঙ্গে অনেক কাজ নিয়ে বিক্রি করে দেয়, বসে থাকে, রেট শিডিউল বাড়ানোর জন্য অপেক্ষা করে— এ ধরনের চক্র থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। এ চক্র সরকারকে জিম্মি করে ফেলছে।
তিনি বলেন, কাজের ভ্যারিয়েশন ঠিক রাখা, নতুন চুক্তি করা- এসব করতে গিয়ে বাজেটের একটা বড় অংশ এ চক্রের পেছনে খরচ হয়ে যাচ্ছে। এ জায়গাতে শিক্ষা প্রকৌশলের সক্ষমতা ছাড়াও নৈতিকতার জায়গাটাও স্পষ্ট থাকতে হবে।
এ ধরনের চক্রকে প্রতিহত করে প্রকৃত প্রকৌশলীদের কাজ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের অর্ডার নেওয়ার অনেক লোক বসে আছেন। তাদেরকে আমরা এ কাজে কীভাবে সম্পৃক্ত করতে পারি সে বিষয়ে আমাদের ভাবনার সুযোগ রয়েছে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
এদিকে, পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসহ সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো ব্যবহার এবং পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনায় নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে উপকূলীয় জেলাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্থায়ী আদেশ মোতাবেক জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো ব্যবহার ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বিআলো/শিলি