দৃশ্যমান এখন নতুনধরা, আবাসনে আমরাই আস্থার আদর্শ: ড. মো. সাদী-উজ-জামান
মো. ইব্রাহীম হোসেন: বাংলাদেশের শতভাগ পরিবেশবান্ধব আবাসন কোম্পানি নতুনধরা গ্রুপের সন্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং দেশের সর্বপ্রথম প্রিমিয়াম প্লটের আবিস্কারক ও রূপকার, এফবিসিসিআই স্ট্র্যান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপারসের কো-চেয়ারম্যান জনাব ডক্টর. মো. সাদী-উজ-জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশে আবাসনে আমরাই আস্থার আদর্শ।
তিনি বলেন, ‘আবাসনে আস্থার আদর্শ নতুনধরা’। এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং বুকে ধারণ ও লালন করে এগিয়ে যাচ্ছে ‘নতুনধরা গ্রুপ’। আমাদের আরেকটি স্লোগান আছে, যা আমি সবসময় বলে আসছি। সেটি হচ্ছে- ‘মিথ্যা ও প্রতারণার নেই আর কোনো ভয়, নতুন পৃথিবীতে এবার হবেই স্বপ্ন জয়’। এই স্লোগানটি আমরা কবিতার জন্য কবিতা নয়, ছন্দের জন্য ছন্দ মিলানো নয়, এটিকে আমরা বক্ষে ধারণ করি এবং এই লক্ষ্যকে নিয়েই আমাদের ‘নতুনধরা’র কার্যক্রম সবসময় পরিচালনা করি। আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানোর সর্বাধিক চেষ্ঠা করে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ্।
ড. মো. সাদী-উজ-জামান বলেন, আমরা শতভাগ পরিবেশবান্ধব আবাসন গড়ার প্রয়াসে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের নতুনধরা অ্যাসেটস্ লিমিটেডের আবাসন প্রকল্পটি পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্রপ্রাপ্ত এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত অতি মূল্যবান ‘ইআইএ’ (এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট) অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান, যা আবাসন খাতে সবচেয়ে কম সময়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে আস্থা ফেরাতে আপসহীন থেকে অর্জন করেছি। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কর্তৃক ছাড়পত্র রয়েছে নতুনধরা অ্যাসেটস্ লিমিটেডের। রিয়েল এস্টেট আইন ২০০৪ অনুযায়ী, জেলা প্রশাসন কর্তৃক দায়মুক্তি সনদপ্রাপ্তি নতুনধরা আবাসন প্রকল্পের শতভাগ স্বচ্ছতারই স্বীকৃতি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিবেশগত অনাপত্তি সনদ ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রশংসাপত্র রয়েছে নতুনধরা’র। জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল ১৯৯০ অনুযায়ী, জমি ক্রয় এবং মিউটেশন করার অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্রেডমার্ককৃত একমাত্র প্রতিষ্ঠান ‘নতুনধরা’। ‘নতুনধরা অ্যাসেটস্ লিমিটেড’ জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেজিস্টার্ড, বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) একটি গর্বিত সদস্য প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক কর্মমান নির্ধারণী সংস্থা ‘আইএসও’ কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত ‘আইএসও ৯০০১ : ২০১৫ সার্টিফাইড কোম্পানি নতুনধরা’। এছাড়াও আমরা সরকারি ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা রাজস্ব কমিটি কর্তৃক পরপর ২ (দুই) বার শীর্ষ অবস্থানে থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারকপ্রাপ্ত অর্জন করেছি!
নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সাদী-উজ-জামান বলেন, বাংলাদেশে আমরাই এই প্রথম বহুল সুবিধা সংবলিত প্রিমিয়াম প্লট তৈরি করেছি। প্রিমিয়াম প্লট বলতে বুঝায় প্রতিটি প্লটই কর্নার প্লট যেখানে দুই পাশে দুইটি রাস্তা থাকে এবং একটি প্লটে দুটি সাইট খোলা থাকে। আমরা আমাদের এখানে ‘প্রিমিয়াম প্লট’-এ যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি তাতে তিন দিকেই পরিবেশবান্ধব সবুজে ঘেরা খোলা যায়গা। আমাদের ‘নতুনধরা’র এ প্রকল্পের প্রতিটি প্লটই ‘প্রিমিয়াম প্লট’। এতে রয়েছে ৫ ও ৩ কাঠার প্লট। এই প্রিমিয়াম প্লটে থাকছে তিন দিকে খোলা জায়গা। ২টি প্রিমিয়াম প্লটের মালিকানায় গ্রাহকেরা চারদিক খোলা পাবেন এবং ৪টি প্লটের মালিকানায় মোট পাঁচ দিক খোলা পাবে। স্পেশাল ফিচারের এই প্লট তিন দিকে খোলা থাকার কারণে ফ্লোর এরিয়া রেশিওর (এফএআর) নীতি অনুযায়ী, ডেভেলপকৃত বিল্ডিংয়ের প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন হবে তুলনামূলক অনেক বেশি। আমাদের নতুনধরা’র এই প্রকল্পে থাকছে শিশু পার্ক মসজিদ, গোল্ডেন গার্ডেন, ওপেন থিয়েটার, লেক, খেলার মাঠ, বার্ডস পার্ক সহ আরও অনেক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। আমাদের এই প্রকল্পে বর্তমানে সুস্থ্য বিনোদনের জন্য প্রতিদিন প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ তাদের পরিবার, শিশুদের নিয়ে আসে ঘুরতে, পিকনিক করতে, ভ্রমন করতে।
ড. মো. সাদী-উজ-জামান বিশ্বাস করেন, একটি পরিবেশবান্ধব ও সুপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পে প্রথম প্রয়োজন সঠিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ। নতুনধরা এক্সপ্রেস লাউঞ্জ অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার (নেলসিসি), যা নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে অন্যতম এক বলিষ্ঠ প্রয়াস। নতুনধরা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল স্থাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। খুব দ্রুত এর কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। এছাড়াও বর্তমানে আমাদের এই প্রকল্পে ডুপ্লেক্স প্রজেক্ট ও অ্যাপার্টম্যান্ট প্রজেক্টের কাজ চলমান অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম মেগাসিটিগুলোর একটি। ক্রমান্বয়ে এখানে জনসংখ্যার চাপ বাড়ছেই। দীর্ঘদিন ধরেই নগর-পরিকল্পনাবিদেরা চাইছেন ঢাকা আশে-পাশে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে। এ জন্য পরিবেশবান্ধব আবাসনশিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে শতভাগ পরিবেশবান্ধর আবাসন কোম্পানি নতুনধরা গ্রুপ।
ড. সাদী-উজ-জামান বলেন, আমাদের প্রকল্পে যে সকল সুযোগ-সুবিধা রেখেছি তার মূল একটাই লক্ষ্য হচ্ছে আমরা ঢাকার শহরের চাপ কমাতে চাই। তা না হলে ঢাকার শহরের যানজট-জনজট কোনো ভাবেই কমবে না বরং বৃদ্ধস্থ্য একটি নগরে রূপ নেবে। যা আমাদের কারোর-ই কাম্য নয়। তাই আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। শতভাগ পরিবেশবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। আবাসন হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি অন্যতম চাহিদা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বেসিক চাহিদার মত আবাসনও একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। দেশের আবাসন খাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে আছে ৬০ লক্ষ মানুষ। আবাসন খাতের সঙ্গে ২৫০টিও অধিক শিল্প খাত প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং সেই শিল্প খাত বা আবাসন খাত যদি কোনো কারণে মন্দা বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়ে তাহলে কিন্তু এই ২৫০টিরও বেশি উপ-খাত বা শিল্প খাতগুলো এবং ৬০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে।
এফবিসিসিআই স্ট্র্যান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপারসের কো-চেয়ারম্যান ড. মো. সাদী-উজ-জামান প্রত্যাশা করে বলেন, এই জন্য আবাসন খাতকে অবশ্যই উজ্জবিত রাখতে হবে দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে, দেশের রাজস্ব আয়ের স্বার্থে। কারণ অর্থনৈতিক সংকট আমাদের আমাদের কারোরই কাম্য নয়।
সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সাদী-উজ-জামান বলেন, আবাসন খাতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এই খাত সবসময় চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিক্রম করতে হয়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা আস্থার সঙ্গে এগিয়ে যাবো। আমরা এই আশা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিশ্বাস খুব কম সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে। এই খাত ঘুরে দাড়াঁবে। আবাসন খাতে সুদিন ফিরে আসবে। আমরা অবশ্যই ভালো একটি অবস্থানে যেতে পারবো।
গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সাদী-উজ-জামান বলেন, আপনারা আমাদের উপর আস্থা এবং বিশ্বাস রাখুন। নতুনধরা শতভাগ দৃশ্যমান আবাসন কোম্পানি। নতুনধরা শতভাগ স্বচ্ছ ও আস্থার পথিক। নতুনধরা শতভাগ পরিবেশবান্ধব আবাসন কোম্পানি। আমরা শতভাগ সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। আস্থা ফেরাতে ঘুছেঁ যাক ঝরা, দৃশ্যমান এখন ‘নতুনধরা’। ‘নতুনধরা’ এখন সত্যিই দৃশ্যমান প্রকল্প। আমি আবারও বলছি দয়া করে আমাদের উপর আস্থা রাখুন।
বিআলো/তুরাগ