দেখা না দিলে বন্ধু কথা কয় না-সময়ই দিল জবাব
মো. তরিকুল ইসলাম (মোস্তফা),বাউফল (পটুয়াখালী) : একসময় রাজনৈতিক কটাক্ষ হিসেবে আলোচিত হয়েছিল— ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কয় না’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করায় তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভূমিকা ও নেতৃত্ব নিয়ে সে সময় প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সমাবেশে দাঁড়িয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হলে সরাসরি মাঠে উপস্থিত থাকা জরুরি। তার এ বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়।
তবে সময়ের ব্যবধানে সেই বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্রই এখন সামনে এসেছে। প্রায় দুই দশক দেশের বাইরে অবস্থান করেও বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে কার্যকরভাবে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন তারেক রহমান। বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, বিদেশে থেকেও তিনি দলীয় আন্দোলন, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানকে ঘিরে বিএনপির অবস্থান ও কর্মসূচি নির্ধারণে তারেক রহমানের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রবাসজীবনে নানা আইনি ও রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করেও দলীয় নেতৃত্ব ধরে রাখার বিষয়টি বিএনপির ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী অধ্যায় বলে মনে করছেন তারা।
অন্যদিকে, ভিডিওর ভাষ্যমতে যিনি একসময় রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়ে কটাক্ষ করেছিলেন— সেই সাবেক ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে কার্যত অনুপস্থিত।
এদিকে আজ ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। বিএনপির নেতাকর্মীদের ভাষায়, কোটি মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা নিয়েই দেশে ফিরছেন তাদের শীর্ষ নেতা।
একসময় যে অনুপস্থিতিকে তিরস্কার করা হয়েছিল, আজ সেই অনুপস্থিতির অবসান দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে— এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিআলো/ইমরান



