দেবিদ্বারে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগর, দেবিদ্বার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে কুমিল্লার দেবিদ্বারে রোববার সকাল ১১টায় পৌর এলাকার মোহনা আবাসিক এলাকার রোশন ভিলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রোশন আলী মাস্টার। দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হাজী মোঃ আবুল কাশে ওমানীর সভাপতিত্বে ও দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ন কবির চেয়ারম্যান, দেবিদ্বার পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম শামীম, জেলা পরিষদ সদস্য ভিপি বাবুল হোসেন রাজু, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নাজমা বেগম, দেবিদ্বার থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ মশিউর রহমান সুমন, ৮নং জাফরগঞ্জ ইউপি আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, দেবিদ্বার উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা মোর্সেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্সেদা ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফা বেগম সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান্ অতিথি বলেন এই উপজেলা আওয়ামীলীগকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তি এখনও নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমাদের সবার এখন এক হয়ে হাতে হাত রেখে এই অপশক্তির যেকোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। নেতা-কর্মীদের মেধা, পরিশ্রম, ত্যাগ ও দক্ষতার মধ্যামে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর এই দিনে নানা আয়োজনে সারাদেশে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।