দোকানের পজিশন বুঝে পেতে ভুক্তভোগীর আহাজারি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মো. মান্নান মিয়া তার কেনা দোকানের পজিশন বুঝে পেতে সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন। গত মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) শপিং কমপ্লেক্সের ৫০০ স্কয়ারের বর্গফুটের দুটি এবং ১ হাজার ১৫ স্কয়ার ফুটের দ্যা ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পজিশনে কেচিগেট লাগাতে গেলে প্রভাবশালী শাহিন বাহিনীর হেনস্থার শিকার হন বলে তিনি অভিযোগ তুলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে মো. মান্নান মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট দ্যা ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড কোম্পানিকে ক্ষমতা দেয়। দ্যা ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড টাকা নিয়ে চুক্তিপত্র প্রদান করে।
এ চুক্তিপত্রের দলিল পাবার পর থেকে মো. মান্নান মিয়া দোকান ভোগ দখল করে আসছে। নিয়ম মেনে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করে আসছি। শপিং কমপ্লেক্সের দোকান ফেরত পেতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ পরিদর্শক বরাবর কাছে আবেদন করেছিলাম। তবে ২০২২ সালের ১৬ জুন থেকে এখন পর্যন্ত সমাধানে আসতে পারেননি। প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে পল্টন মডেল থানায় ১০/২/২৪ জিডি করেছিলাম। সে সময় প্রশাসনের সহযোগিতায় দোকান নির্মাণের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। তবে দুর্বৃত্তরা একটি অসাধু চক্রের সহযোগিতায় পুনরায় দোকানের কাজ কমপ্লিট করেন। দোকান মালিক মো. মান্নান মিয়ার সকল ডকুমেন্টসের ওপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, যতদিন পর্যন্ত দুই পক্ষের সঠিক ডকুমেন্টস নিয়ে বসে মীমাংসা না করা হবে ততদিন পর্যন্ত দোকান মালিক মো. মান্নান মিয়া।
এ সময় যদি তিনি কোনো সন্ত্রাসী হামলা কিংবা দুর্ঘটনার শিকার হন তার দায়ভার বিবাদী পক্ষকেই নিতে হবে। ডিউটিরত সেনাবাহিনী অফিসার আরো জানান, সকল ডকুমেন্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই সম্পত্তির মালিক মো. মান্নান মিয়া। কারো কাছে যদি কোনো লিগ্যাল ডকুমেন্ট থাকে নিয়ে আসুন। অযথা কোনো বিভ্রান্তিকার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহিন বাহিনী আবারো কাজ শুরু করে। বর্তমানে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের পরিচালনা পরিষদে যারা আছেন তারা আবার নতুন করে ক্রয় ও চুক্তিপত্র দলিল নিতে বলেছে। তারা নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। প্রতি বর্গ স্কয়ার ফিট ৬ হাজার টাকা। গত বুধবার বিকেলে সেনাবাহিনী নিয়ে মান্নান মিয়া তার দোকানে যান। তাদের উপস্থিতিতে দোকানের মালিক মান্নান মিয়া জানান, আমি আর কতো অপেক্ষা করবো। বিরোধীরা এতটাই ক্ষমতাশীল তাদের পক্ষে আমাকে গুম, খুন করা কোনো ব্যাপারই না। বিষয়টি সুরাহা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।