নরসিংদীতে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই
নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় রাবেয়া খাতুন (৫৩) নামে এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদী।
আজ দুপুরে নরসিংদী পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান। গত ২৫ থেকে ২৯ অক্টোবর চার দিনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রায়পুরার আদিয়াবাদ পিপিনগর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন (২০), একই উপজেলার বাহেরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে জীবন (১৯) ও আব্দুর রহিমের ছেলে স্বপন (৫৫)।
পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সকালে নিজ ঘরের মেঝে থেকে গলায় কাপড় পেঁচানো ও উলঙ্গ অবস্থায় রাবেয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই ঘরের পশ্চিম পাশে দুইটি সিঁধ কাটা ছিল। ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই আমির হামজা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও ক্লুলেস এই মামলাটির তদন্তে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় চলতি বছর ৩১ মার্চ মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আদেশক্রমে পিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়।
মামলাটি পিবিআইতে আসার পর তদন্তের এক পর্যায়ে ২৫ অক্টোবর নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে সুমন (২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট জীবন (১৯) নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা ২৬ অক্টোবর নরসিংদী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের দেওয়া তথ্যে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত স্বপন (৫৫) নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ও সিঁধ কাটার শাবল এবং ছেনি উদ্ধার করা হয়।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, ঘটনার দিন রাতে সুমন, জীবন ও কামাল রাবেয়ার ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে রাবেয়ার মুখে কাপড় পেঁচিয়ে মুখ বন্ধ করে। ওড়না দিয়ে পা বেধে ফেলে। এক পর্যায়ে রাবেয়াকে পেটে আঘাত করে। রাবেয়া মারা যাওয়ার অবস্থা হলে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় রাবেয়া মারা গেলে তারা তিনজনই পালিয়ে যায়।
বিআলো/তুরাগ