• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    নিজ বাসায় থাকতে পারবেন তুরিন আফরোজের মা: আপিল বিভাগ 

     dailybangla 
    05th May 2025 2:55 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মা আজ থেকে তার উত্তরার নিজের বাসায় থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

    সোমবার (৫ মে) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এ আদেশ দেন।

    আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আপিল বিভাগ ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মাকে আজ থেকে তার নিজের বাসায় থাকতে পারবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিচারিক (নিম্ন) আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

    এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ রাজধানীর উত্তরার বাড়িতে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম এবং ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজের বসবাস নিয়ে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে শামসুন্নাহার বেগম ও শিশির আহমেদের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ।

    আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার মনজুর রাব্বী ও ব্যারিস্টার আতিকুল হক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল করিম।

    ব্যারিস্টার আতিকুল হক সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে বসবাসকে কেন্দ্র করে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম ও ভাই শাহনেওয়াজের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই।

    তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িতে ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন শামসুন্নাহার বেগম এবং তার ছেলে শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ। তবে নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজকে ওই বাড়ি থেকে ২০১৭ সালে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। পরে ওই বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা দাবি করে শাহনেওয়াজ ও তুরিন আফরোজ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দুইটি দেওয়ানি মামলা করেন।

    ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর দুই পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা জারি করেন ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। এরপর যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আবেদন করেন শাহনেওয়াজ। পরে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন জেলা জজ আদালত। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে জেলা জজ আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের করেন শাহনেওয়াজ।

    ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক বেঞ্চ উত্তরায় ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চে আসে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে একক বেঞ্চ রুল যথাযথ (অ্যাবসুলেট) ঘোষণা করে স্থিতাবস্থা বাতিল করে রায় দেন।

    এর ফলে ওই বাড়িতে শাহনেওয়াজ ও তার মা শামসুন্নাহার বেগমের বসবাসের ক্ষেত্রে আইনহত কোনো বাধা নেই।

    এখন বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা দাবি করে দায়ের করা দুইটি মামলা বিচারিক আদালতে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে বলে জানান আইনজীবী আতিকুল হক।

    বিচারিক আদালতের মামলার আরজিতে তুরিন আফরোজ দাবি করেন, তুরিনের মা শামসুন্নাহার ১৯৯১ সালে ক্রয়সূত্রে উত্তরার সম্পত্তির মালিক হন। পরের বছর ১৯৯২ সালে শামসুন্নাহার তার স্বামী তসলিম উদ্দিনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিযুক্ত করেন। এরপর ১৯৯৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তসলিম উদ্দিন মেয়ে তুরিন আফরোজকে হেবা (দানপত্র) করেন। তবে শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাব দিয়ে বলেছেন, তসলিম উদ্দিন কখনও তার মেয়ে তুরিন আফরোজকে উত্তরার সম্পত্তি দান করেননি বরং শামসুন্নাহার তার ছেলে শাহনেওয়াজকে উত্তরার সম্পত্তি ১৯৯৭ সালে হেবা করে দেন।

    পরে ওই জমি শাহনেওয়াজের নামে নামজারি করে ১৯৯৯ সালে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়। এরপর রাউউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা বাড়িতে তারা ২০০২ সালে থেকে বসবাস করে আসছিলেন।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930