নিত্যপণ্য সরবরাহে সবসময় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাব: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বিআলো প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমরা শুধু রমজান না, সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাব। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ আমাদের লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করব। আমাদের রমজানটা ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল-সব কিছুর চাহিদা তিনগুণ বেড়ে যায়। এটা আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতাও। আমরা দিল্লি থেকে পেঁয়াজ এনেছি। সেই সাথে আমাদের তেল চিনিসহ নিত্যপণ্যসহ সকল পণ্য আমাদের পর্যাপ্ত ছিল। একই সাথে দাম ঊর্ধ্বমুখী নয় নিম্নমুখী ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ পার হয়ে এসেছি।
১৫ এপ্রিল, সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন টিটু। এ সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
চালের বস্তায় দাম লিখে দেওয়ার বিষয়ে কতদূর কি করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। সেই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় আরও ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করবো। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা। বিশেষ করে আমদানি করে যে সব জিনিস আনা হয়। আর লোকাল কৃষি পণ্য ও খাদ্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বললে ভালো হবে।
পহেলা বৈশাখ থেকে এটি কার্যকরের কথা বলা হয়েছিল, সে বিষয়ে কী করবেন জানতে চাইলে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি ইস্যু করেছে। তারপর কি হয়েছে তাদের সাথে কো-অরডিনেশন মিটিং করে বলতে পারবো।
গ্রামে বেগুন পাঁচ টাকা, সেটা শহরে এসে ৭০ টাকা হয় এ বিষয়ে কী কাজ করছেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমরা যেটা পারি আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনার যে অংশটুকু আমাদের বিশেষ করে আমদানি ও পাইকারি বাজার। রমজান মাসে যেভাবে কাজ করেছি আমরা বারো মাস একইভাবে কাজ করবো। তেল, চিনিসহ আমদানি বাজারে যে-সব জিনিস রয়েছে সেগুলোতেই আমাদের নজরদারি থাকবে এবং ভোক্তা অধিকার অন্যান্য বিষয়গুলোও আমরা দেখবো।
বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ মন্তব্য করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পয়লা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ
ভিন্ন।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পাঁচদিন আমি আমার গ্রামে ছিলাম। মাঠে ঘাটে চলেছি; সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেছি। সকলের মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেরেছি। সবাই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করেছেন। এছাড়া এবারের নববর্ষ শুধু ঢাকা-শহরে নয় গ্রামেও যেভাবে উদ্যাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি৷
রাজনৈতিকভাবে কেউ কিছু বলে থাকলে সেখানে উত্তর না দেওয়াটাই ভাল। উত্তর দেওয়ার কিছু নাই; জনগণই ভালো মন্দ বলতে পারবে। তারা অস্বস্তিতে আছে কিনা, নাকি স্বস্তিতে রয়েছে। তবে আমি সকলের মধ্যেই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ এবং নববর্ষ উদ্যাপন করতে দেখেছি। এটাই আমার অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয়, উনি রাজনৈতিকভাবে এটা বলেছেন, যার উত্তর দেওয়ার কিছু নেই।
বিআলো/শিলি