নোয়াখালীর গর্বিত সন্তান মরহুম মোজাফফর হুসাইনের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী
ডেস্ক রিপোর্ট: আজ নোয়াখালীর গর্বিত সন্তান, রামবল্লোভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, মরহুম মোজাফফর হুসাইনের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি একাধারে একজন শিক্ষাবিদ, লেখক, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজ সেবক ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। একই সঙ্গে ছিলেন সৎ, নির্ভীক, সাহসী ও প্রতিবাদী একজন মানুষ।
মরহম মোজাফফর হুসাইন হেডমাস্টার ( বিএ, বিএড) ২০০০ সালের ২০-ই সেপ্টেম্বর মরণব্যাধি ক্যান্সার ও আক্রান্ত হয় মারা যান। মৃত্যুকালীন সময় উনি অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, ঈদগাহ, পাঠাগার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করেন।
সমাজের মানুষকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে সরকারী চাকুরী ছেড়ে নোয়াখালী সদর পশ্চিম অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ, রাম বল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, পাশাপাশি নোয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়, ও চট্টগ্রাম পাহাড়তলী কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সততা নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সদর উপজেলা অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, মরহুম আব্দুল মালেক উকিল ডিগ্রী কলেজের গভার্নিং বোর্ডের সদস্য ছিলেন, এছাড়া বাঁধের হাট গোরাপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় ও শিক্ষকতা করেন। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল সদর পশ্চিমাঞ্চলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মৃত্যুর পুর্ব মহুর্ত পর্যন্ত। জীবনের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত তাই নিজেকে সমাজ ও মানব সেবায় সম্পৃক্ত রেখেছেন, গুণী এই মহান ব্যক্তির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
নোয়াখালী সদর উপজেলার এই কৃতি সন্তান,হাজার হাজার মানুষ গড়ার কারিগর ছিলেন, আর মানুষের ভালোবাসা সেইতো কাক ডাকা ভোরে তাহার আঙ্গিনায় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে টের পাওয়া যেত, মানুষের যে কোন সমস্যা সমাধানে তিনি ছিলেন মেজিশিয়ান!! সাধারণ মানুষ যে কোন বিপদে উনার কাছেই ছুটে যেতো,অসহায় আর দরিদ্রদের কাছে উনি ছিলেন আস্থার ঠিকানা, শিক্ষক ও আলেম সমাজের কাছে ছিল পরামর্শ দানকারী ও পরম শ্রদ্ধেয়, মানুষের এমন আত্ববিশ্বাসের মুল্য দিতে তিনি কখনো পিছপা হতেননা, পরাজয় শব্দটা তাহার সাথে বেমানান ছিল, উনার মতো আলোকিত মানুষ এই সমাজে বর্তমান সময়ে ভীষণ অভাব, শিক্ষা ও সামাজিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে উনার বিচরণ ছিল অভূতপুর্ব, কিছুতেই আদর্শ আর নৈতিকতা থেকে কোন রক্তচক্ষু উনাকে বিন্দুমাত্র সরাতে পারেনি।
লেখক: একে.এম নাজিমউদ্দীন অপি
বিআলো/তুরাগ