পরকীয়ার জেরে বন্ধুকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সদর উপজেলায় আলী হাসান (৩০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সবুজ সওদাগরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বেলাইলের হাজীর মিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সবুজ সওদাগর সদর উপজেলার শহরদিঘী এলাকার বাসিন্দা। তার নামে দুটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলী জিন্না সবুজ সওদাগরকে প্রধান করে চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন- সবুজের মা সিল্কি বেগম, সবুজের ভাই সম্রাট সওদাগর ও তাঁর স্ত্রী লিপি বেগম।
নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম উত্তরপাড়া এলাকার জিন্নাহ মিঞার ছেলে। তিনি ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। আলী হাসান বগুড়ার ফাঁপোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। অভিযুক্ত সবুজ সওদাগরও এ হত্যা মামলার আসামি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আলী হাসান এবং সবুজ দুজনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এজন্য তারা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতো। এক বছর আগে আলী হাসান যখন জেল হাজতে ছিলেন তখন সবুজের সঙ্গে হাসানের স্ত্রীর মিতু বেগমের পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। এর মধ্যে আলী হাসান জামিনে বের হলে ওই ঘটনা জানতে পারে এবং সবুজের সঙ্গে হাসানের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা দুজন আপস মীমাংসা করে আবারও আগের মত চলাফেরা করলেও ভেতরে ভেতরে সেই শত্রুতা থেকেই যায়।
এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলের দিকে সবুজ তার শহরদিঘী বাড়িতে কৌশলে আলী হাসানকে ডেকে নেয়। সেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সবুজ তার বন্ধু আলী হাসানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে তাকে হাসপাতাল বগুড়ায় এনে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে কৌশলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আলী হাসান মারা যান।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, আলী হাসানকে হত্যার পর থেকেই সবুজ পলাতক ছিলেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া পলাতক আসামিদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে।
বিআলো/শিলি