পাকিস্তানে নজিরবিহীন বায়ুদূষণ, রাস্তায় বের হলেই জ্বলছে চোখ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের লাহোরে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে বায়ুদূষণ। এরই মধ্যে বায়ুদূশষজনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে প্রায় ৯০০ জন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শহরটির বায়ুদূষণ পরিস্থিতি এতটাই চরম হয়েছে যে, রাস্তায় বের হলে চোখে জ্বালাপোড়া ও গলা জ্বলছে। দরজা–জানালা দিয়ে প্রবেশ করা বিষাক্ত কণার ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বাড়িতে খুব কম লোকই এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছেন।
দূষণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা দিতে লাহোরের পাশাপাশি পাঞ্জাব প্রদেশের আরও কয়েকটি শহরে সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভারত সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বাস। বিভিন্ন কলকারখানা থাকায় শহরটি প্রায়ই দূষণ তালিকায় শুরুর দিকে থাকে। তবে চলতি নভেম্বরে সেখানকার বায়ুদূষণ রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বায়ুর মান সূচকে লাহোরের স্কোর ১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার শহরটির সবশেষ স্কোর ছিল ৯১০।
বায়ুর মান সূচকে ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত স্কোর অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। সূচকে ৩০০ স্কোর ছাড়িয়ে গেলে একে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়। তাই লাহোরের বায়ুর মানের স্কোর নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিআলো/শিলি