পাতা দিয়ে লিখা ‘হেল্প’ দেখে নির্জন দ্বীপ থেকে ৩ জন উদ্ধার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়ার একটি নির্জন দ্বীপে আনন্দ ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিন ব্যক্তি। তবে তাদের এই আনন্দ যে নিমিষেই বিষাদে পরিণত হবে কে জানত। নির্জন দ্বীপটিতে গিয়ে তারা জানতে পারেন তাদের ২০ ফুটের ছোট নৌকাটি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তাদের আর লোকালয়ে ফিরে যাওয়ার আর কোনো রাস্তা নেই। তাই ওই দ্বীপটিতে ৯দিন আটকা থাকতে হয় তাদের। পরে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সহায়তা আর নিজেদের বুদ্ধির জোড়ে সেখান থেকে উদ্ধার হন ওই তিন ব্যক্তি।
১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি জানায়, উদ্ধারকৃতরা গুয়াম থেকে ৬৬৮ কিলোমিটার দূরের নির্জন জনমানবহীন দ্বীপ পিকেলোট আটোলে গিয়েছিলেন। তবে সেখান থেকে আর তারা ফিরে আসছিলেন না। দ্বীপটি ফেডারেটেড স্ট্যাটস অব মাইক্রোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
কোস্টগার্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, যারা নিখোঁজ হয়েছিলেন তাদের সবার বয়স ৪০ বছরের কাছাকাছি এবং তারা সবাই দক্ষ নাবিক ছিলেন। গত স্টার সানডেতে (৩১ মার্চ) এই তিনজন নির্জন দ্বীপটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছানোর পর নির্ধারিত সময়ে আর তারা ফিরে আসেননি।
এরপর ওই ব্যক্তিদের এক আত্মীয় বিষয়টি গুয়ামে অবস্থিত মার্কিন কোস্টগার্ডের যৌথ উদ্ধার সাব-স্টেশনে জানান, তার তিন চাচা নিখোঁজ রয়েছেন। এমন তথ্য পাওয়ার পরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে কোস্টগার্ড।
প্রথমে উদ্ধারকারীরা খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ৭৮ হাজার নটিক্যাল মাইল এলাকাজুড়ে তাদের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিমান থেকে তাদের ‘হেল্প’ লেখা বাক্য চোখে পড়ে উদ্ধারকারীদের।
এই উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফটেনেন্ট চেলসি গার্সিয়া। তিনি জানিয়েছেন, ওই তিন ব্যক্তি পাম গাছের পাতা দিয়ে ‘হেল্প’ লেখাটি লিখেছিলেন।
বিআলো/শিলি