পারমাণবিক বোমার আঁতুড়ঘর
নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কুখ্যাত প্রকল্প। যা ছিল মানব ইতিহাসের এক বীভৎস ও কলঙ্কময় অধ্যায়ের প্রস্তুতি। যুদ্ধ চলাকালীন আমেরিকা খবর পায় জার্মানে নাৎসি সরকার পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে। এই খবরে বিচলিত হয়ে পারমাণবিক বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন সরকার। শুরুতে অধিকাংশ বিজ্ঞানী রাজি ছিলেন না। কিন্তু মার্কিন নৌ-ঘাঁটি পার্ল হারবারে জাপানের আকস্মিক আক্রমণে নড়েচড়ে বসে গোটা দেশ।
আইনস্টাইন, ফার্মি, লিও শিলার্ড এগিয়ে নেন শুরুর গবেষণা। পরবর্তীতে নিলস বোর, চ্যাডউইক, ফাইনম্যানের মতো বিজ্ঞানীরাও যোগ দেন। রবার্ট ওপেনহেইমারকে নিযুক্ত করা হয় পরীক্ষাগারের পরিচালক হিসেবে। ১,২৫,৩১০ জন কর্মী কাজ করেন সেই প্রকল্পে। বোমা তৈরি হয়।
মেক্সিকোর এক মরুভূমিতে করা হয় সে বোমার পরীক্ষা। পরীক্ষা প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ট্রিনিটি। একটি ইস্পাত টাওয়ারের ওপরে রেখে বোমাটি বিস্ফোরণ করা হয়। মুহূর্তেই ৪০,০০০ ফুট প্রকাণ্ড এক আগুনের মাশরুম তৈরি হয়। ধোঁয়ার মেঘে চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। ইস্পাতের টাওয়ারটি তাপে সম্পূর্ণ গায়েব হয়ে যায়।
পরীক্ষার ২১ দিনের মাথায় জাপানের হিরোশিমায় ও এরও ৩ দিন পর নাগাসাকি শহরে ফেলা হয় দুটো পারমাণবিক বোমা লিটল বয় এবং ফ্যাট ম্যান’। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দুটো শহর। দুই শহরের ১ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় সেই হামলায়। সেটিই ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ও শেষ পারমাণবিক হামলা।
বিআলো/শিলি