পারমাণবিক শক্তির দৌড়ে ফের যুক্তরাষ্ট্র, সতর্ক ইরান
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় চালুর নির্দেশকে ‘বেপরোয়া’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইরান। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন করে উত্তেজনার মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে চীন ও রাশিয়াও।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরকে (ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার) পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে তিনি দাবি করেন, অন্যান্য পরমাণু শক্তিধর দেশ পরীক্ষায় এগিয়ে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রকেও সমান শক্তির অবস্থানে ফিরতে হবে।
এই ঘোষণার তুমুল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি দমনমূলক দেশ যুদ্ধ দফতরের নামে নতুন পরিচয় তৈরি করে আবারও পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে-এটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ছাড়া কিছু নয়।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিকে হুমকি দেখিয়ে নিরাপদ স্থাপনায় আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে ওয়াশিংটন, যা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের শামিল।
এপেক সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার পথে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, ‘রাশিয়া এখন দ্বিতীয় স্থানে, চীন তৃতীয়; শিগগিরই তারা আমাদের সমকক্ষ হবে। তাই পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে হবে।’
রাশিয়া ট্রাম্পের ঘোষণাকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে। দেশটির পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বকে নতুন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং এটি উসকানিমূলক পদক্ষেপ।
চীনও একই সুরে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে। বেইজিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, একতরফা এমন পদক্ষেপ বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্য নষ্ট করবে।
বর্তমানে বিশ্বে নয়টি দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। রাশিয়ার ভাণ্ডারে রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের আছে পাঁচ হাজারের বেশি। চীনের হাতে রয়েছে আনুমানিক ৬০০ ওয়ারহেড। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিআলো/শিলি



