• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    পার্বত্য জেলার সংঘর্ষ নিয়ে আইএসপিআরের বিবৃতি 

     dailybangla 
    20th Sep 2024 7:07 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ও আহতের ঘটনায় তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

    বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল মানুষের গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

    মিছিলটি দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউপিডিএফ (মূল)-এর কতিপয় সন্ত্রাসী মিছিলের ওপর হামলা করে ও ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার ব্রিগেড ও স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

    আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ক্রমেই পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর করে তোলে। একপর্যায়ে খাগড়াছড়ি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল সভায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে টহল দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    আইএসপিআর আরও জানায়, বৃহস্পতিবার রাতেই একজন মুমূর্ষু রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল)-এর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যদের ওপর গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পিসিজেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙ্গামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। এ সময় ৮০০-১০০০ জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে অগ্রসর হয় এবং বনরুপা বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি- অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং বেশকিছু দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে উভয় পক্ষের বেশকিছু লোকজন আহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

    চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারার আশঙ্কা প্রকাশ করে আইএসপিআর অবিলম্বে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে। এ ছাড়া যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আইএসপিআর বিবৃতিতে উল্লেখ করে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930