• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    পুলিশ বাহিনীর আইকন মাসুদ আলম: ডিএমপির ৮ বিভাগের মধ্যে রমনা অধিক গুরুত্বপূর্ণ 

     dailybangla 
    03rd Nov 2025 9:51 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    কামাল চৌধুরী: ঢাকা মহানগর পুলিশের ৮টি অপরাধ বিভাগের মধ্যে রমনা বিভাগটি তুলনামূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই বিভাগের অন্তর্গত রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর রয়েছে। রয়েছেন আরো নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ডিএমপির এই রমনা বিভাগের দায়িত্ব নিতে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা সবসময়ই অনিহা দেখাতেন। তারপরও কর্তৃপক্ষ যাকে এই রমনা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োগ দিয়েছেন তাদের অনেকেই বেশিদিন না থেকে নানান কৌশলে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যেতেন। ২০২৪ এর ৫ আগস্টের পর কর্তৃপক্ষ উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম কে নিয়োগ দেন। উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম ২০২৪ এর ১৪ অক্টোবর রমনা বিভাগে যোগদান করে তিনি এপর্যন্ত সুনামের সঙ্গে কর্মচাঞ্চল্যের মধ্যে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এজন্য ডিএমপির কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী তাকে পুরস্কৃত করেছে। উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বিসিএস-২৮ ব্যাচের। তিনি বগুড়ার দোপচাচিয়ার আদমদীঘির সন্তান। ডিএমপির রমনা বিভাগে রয়েছে ৫টি থানা। এগুলো হচ্ছে, ধানমন্ডি, হাজারিবাগ, রমনা, নিউমার্কেট, শাহবাগ থানা। এছাড়াও রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম হাসপাতাল, বারডেম মহিলা ও শিশু হাসপাতাল, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সিদ্ধেশরী মহিলা বিশ্ববিদ্যাল কলেজ সহ অনেক বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল। তেমনি রয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ সচিবালয়, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, এপিলেড কোর্ট, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কোর্ট। রয়েছে বিজিবি হেডকোয়ার্টার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ডিএমপি হেডকোয়ার্টার, কেন্দ্রীয় পুলিশ কন্ট্রোল রোম, ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টার। তেমনি রয়েছে বিভিন্ন জাতীয় অতিথি ভবন, প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবন, প্রধান বিচারপতির বাস ভবন, বিচারপতিদের বাস ভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের বাস ভবন, নৌ বাহিনীর প্রধানের বাস ভবন, মন্ত্রী পরিষদের বাস ভবন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বিশেষ করে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নানান দাবিদাওয়া নিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক সভা সমাবেশ। এসব সভাসমাবেশকে কেন্দ্র করে চলে নানাবিধ উত্তেজনা। একই ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ মোর, ঢাকা কলেজ -সিট কলেজে প্রতিনিয়ত চলে হানাহানি। এসব এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিসি রমনা মাসুদ আলমকে সকাল ৮টা থেকে রাত পর্যন্ত থাকতে হচ্ছে তঠস্থ ও উদবিঘ্ন। ডিসি মাসুদ আলম এসব সার্বিক বিষয়ে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সক্ষমতা দেখিয়ে দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অনেকে বিভিন্ন চায়ের দোকানে, আড্ডায় বসে পুলিশ নিয়ে আলোচনা হলেই একে অপরকে প্রশ্ন করে ডিসি রমনা খাওয়া দাওয়া করেন কখন, ঘুমান কখন, পরিবারকে সময় দেন কখন? এই পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে কোনো ধরনের নেই ক্লান্তি, যেন ইঞ্জিন চালিত হাওয়াই মেশিন। একটি মেশিনেরও রেস্ট হয়, কিন্তু ডিসি রমনা মাসুদ আলমের মধ্যে তেমন ক্লান্তি বা রেস্ট নিতে দেখা যায় কম। ডিসি রমনা মাসুদ আলম ডিএমপির আইকন। তার কর্মতৎপরতা থেকে অন্যান্য কর্মকর্তাগণ শিক্ষার অনেক কিছু রয়েছে। উল্লেখ্য, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার রমনা বিভাগ মাসুদ আলম সর্বাধিক আলোচনায় আসেন ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনে রাজবাড়ী কর্মরত থাকাবস্থায়। রাজধানীসহ দেশব্যাপী ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের সময়।

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ যখন আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালিয়ে নানাবিধ অপকর্ম করছিল। পাশাপাশি পুলিশের কিছু কর্মকর্তা ও সদস্য আক্রমণ করে আক্রান্ত করেছিল। তখন আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার ঢাল হিসেবে তিনি দাঁড়িয়ে বলেন, কিছু করতে হলে আগে আমাকে হত্যা করে আগাতে পারো। তার এসব কথা বা বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এখান থেকেই ডিএমপির রমনা বিভাগের আজকের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম এখানেও তার পেশাদারী দায়িত্ব, কর্তব্য, ব্যবহার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ফলে ভাইরাল হয়েই চলেছেন। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপ-পুলিশ কমিশনার শত ঝামেলা ও বিপরীত প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও সহকর্মী এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেন। নিজের খাওয়া দাওয়ার কথা চিন্তা না করে বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা ফোর্স ও অফিসারের খাবারের খবরাখবর নিয়ে থাকেন। কখনো কোনো ধরনের সমস্যা হলে কর্তব্যে অঠোট থেকেও সমাধান করেন। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ছাত্রাবস্থায় তার রাজনৈতিক দর্শন কী ছিল তা নিয়ে এপর্যন্ত তার কোনো সহকর্মী বা সাধারণ মানুষ প্রশ্ন উঠাতে পারেনি। এর বড় কারণ হচ্ছে তার পেশাদারিত্ব আচার-আচরণ ও শৃঙ্খলা রক্ষা।
    উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের চাকরি করি। আমাদের উপর সাধারণকে আইনি সেবা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব। পুলিশ দুষ্টের দমন এবং শৃষ্ঠের পালন করা মূল দায়িত্ব। সাধারণের সঙ্গে ধৈর্য ধারণ করে হাসি মুখে কথা বলতে অসুবিধা কী। একজন মানুষ যতোটা মনোকষ্ট নিয়ে পুলিশের কাছে আসে হাসিমুখে তার কথা শোনে যতটুকু সম্ভব আইনী সহযোগিতা করলে সেই লোকটা তার মনোকষ্ট লাঘব করে খুশি হয়ে ফিরে যাবে। আমার প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)সহ সকল অফিসার ও ফোর্সের প্রতি এমন নির্দেশ রয়েছে। একই কথা আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারেরও নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো তা হয়তো হয়ে উঠেনা। তারপরও এমন কোনো অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
    উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, মাঠ পর্যায়ে যে কোনো ঝামেলায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি)গণ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা এবং জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারগণ থাকেন। আমরা সবসময় টিম ওয়ার্কে বিশ্বাস করি। টিম ওয়ার্ক হলে সাধারণের পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত হয় না। আর এসব সার্বিক বিষয়ে পুলিশ কমিশনার সাহেব সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে থাকেন। ডিএমপির কর্মচাঞ্চল্য উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, এত ঝামেলার মধ্যে নিজের খাওয়া দাওয়া সেরে নেই, মাঝে মধ্যে ফোর্সের সঙ্গেও খেলা নেই। আর পরিবারকে তেমন একটা সময় দিতে না পারলেও এর মধ্যেই যতোটা সম্ভব সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার কাছে শুক্রবার আর শনিবার বলতে কিছু নেই। ছুটির মধ্যে থাকলেও কোনো ধরনের ঝামেলা হলে ছুটে আসতে হয়। ডিএমপির রমনা বিভাগে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নানান রকমের ঝামেলা একটা না একটা লেগেই থাকে। আর এসব ঝামেলা মোকাবিলা করতে মাঠে থাকতে হয় উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমকে। এসবের মধ্যে তার দাপ্তরিক কাজ করতে হয়। বিভিন্ন থানা ভিজিট করে তদারকিও করছেন। সাধারণ মানুষকে সাক্ষাৎও দিচ্ছেন। মানুষের নানাবিধ সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন। তার দায়িত্বের মধ্যে না পরলেও যখন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় তখন উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম তিনি নিজে ট্রাফিকের কাজটাও নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে সড়কের যানজট কমানোর চেষ্টা করেন যা বিরল এবং প্রশংসনীয়।

    এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যা করি তা ডিএমপির কমিশনারের হয়েই করি। পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, ডিএমপির ৮ বিভাগই না সকল জেলার পুলিশ সুপারগণ যদি উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমের মতো হতে পারতেন তা হলে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন আরো উন্নয়ন হতো। সাধারণ মানুষ পেত সঠিক পুলিশি সেবা।

    বিআলো/তুরাগ

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930