• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    পোল্ট্রি সেক্টরে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার 

     dailybangla 
    19th Dec 2024 6:01 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পূর্বঘোষিত ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে সরকার বিপিএ এর ১০ দফা দাবি পূরণ করবে বলে আশ্বস্ত করায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটি।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এর আগে, প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষা, করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ দশ দফা দাবি জানিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএ। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।

    তখন বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জানান, প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বারবার বলার পরও তারা নজর দিচ্ছে না। উল্টো কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। যাতে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারে। বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই সংকট দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।

    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয় তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করছে। তাই আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি

    বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বেশকিছু দাবিও তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে-

    ১. কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকার নিয়ম করতে হবে। কারণ, বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো ডিম ও মুরগি উৎপাদনেও অংশগ্রহণ করছে, যার ফলে ছোট খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না।

    ২. বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

    ৩. ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।

    ৪. প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে।

    ৫. ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৭. আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে প্রান্তিক খামারিদের জন্য।

    ৮. সরকারি নীতিমালা তৈরি করে কর্পোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    ৯. চুক্তিভিত্তিক ফার্মিংয়ের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে।

    ১০. প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে হবে।

    এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, প্রান্তিক খামারিরা বাঁচবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিপিএ সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    May 2025
    M T W T F S S
     1234
    567891011
    12131415161718
    19202122232425
    262728293031