প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা পারে শব্দ দূষণ রোধ করতে: ডিসি চাঁদপুর
সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন উচ্চশব্দ একটি নীরব ঘাতক। এতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, মাথা ব্যথাসহ মনোসংযোগেও ব্যাঘাত ঘটে। নানান রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় শব্দ দূষণ। শব্দের দূষণ প্রতিরোধে দরকার সচেতন একটি সমাজ। উচ্চমাত্রার শব্দের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এর আওতায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, শব্দ দূষণের রোগী এখন ঘরে ঘরে। বিশেষ করে যারা হার্ট অ্যাটাকের রোগী তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শব্দ দূষণের কারণে। এই কারণে মাথাব্যথা, কানে কম শোনাসহ নানা রোগের উদ্রেক হয়।
তিনি আরও বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ আইন যদি এখনই প্রয়োগ করে এর নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে এর ভয়াবহতা অনেক বেশি পরিমাণে মুখোমুখি হতে হবে। মানুষকে অনেক বেশি ভোগান্তি পোহাতে হবে। শব্দের মাত্রা বেশি হলে পুলিশের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, হাইড্রোলিক হর্ন, আতশবাজি এগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং একইসঙ্গে অযথা হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। গাড়িচালকদেরকে সচেতন করতে হবে, উচ্চহারে গান-বাজনা শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ মানুষকে আগে সচেতন করতে হবে। রাত এবং দিনের শব্দ তুলনা করে সচেতন করার বিষয়টি বিবেচনায় আনা জরুরি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সুদীপ্ত রায়, সিভিল সার্জন ডা. নূর আলম আদ দ্বীন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত।
সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেবুর রহমান ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি।
বিআলো/শিলি