প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কুয়াকাটায় ব্যবসায়ী
নিজস্ব প্রতিবেদক: অপহরণের পর দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বেঁচে ফিরলেও প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ী এম এ খায়ের মোল্লা ও তার পরিবার।
গত বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী খায়ের মোল্লা বলেন, পটুয়াখালীর কুয়াকাটার নবীনপুরে তার রোজ ভ্যালি মোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট রয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার আন্দোলনের সময় লোহালিয়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জসিম শিকদার ওরফে রানা পরিকল্পিতভাবে তার হোটেলটি ভাঙচুর ও লুটপাট করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তাকে চাঁদা দিয়ে আইনি সহায়তার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী সাব- জজ আদালতে যান।
সেখানে ওত পেতে থাকা জসিম শিকদার রানা, কবির শিকদার, সাইদুর রহমান, রনি, আলী হোসেন, জসিম আকন ও আরো ২০- ৩০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। তারা পটুয়াখালী সদরের অদূরে লোহালিয়া গ্রামের নির্জন বিল এলাকায় আটকে রেখে নির্যাতন করে। অস্ত্র ঠেকিয়ে ১০০ টাকা মূল্যের ১২টি সাদা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও তিনটি সাদা কার্টিজ পেপারে সই দিতে বাধ্য করে। পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা কমার্স ব্যাংকের একটি চেকে ৫ কোটি টাকা লিখে তারা সই করিয়ে নেয়। এমনকি তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য অস্ত্রের মুখে পরনের কাপড় খুলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে দুবৃর্ত্তরা।
বিষয়টি জানাজানি হলে থানায় অভিযোগ ও জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পটুয়াখালী সদরের কাছে লোহালীয়া সেতুর নিচে তাকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। মুক্তির পর গত ২২ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় উল্টো তার বিরুদ্ধে নারী শিশু আইনে মিথ্যা মামলা করেন দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, জসিম সিকদার ওরফে রানা একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে অপহরণ, গুম, খুন, দখল, চাঁদাবাজি, মারধোর সহ নানা ধরনের মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। এই ভয়ংকর সন্ত্রাসীর হাত থেকে পরিবারসহ নিজের নিরপত্তা ও সম্পদ রক্ষার্থে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বররাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বিআলো/তুরাগ