• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    প্রাথমিকে সংগীত-শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : আসক 

     dailybangla 
    17th Sep 2025 9:08 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে আইন সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই দাবি ও অবস্থান শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমাজে বিভেদ ও বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রচেষ্টা বলে মনে করে এই আইন সহায়তাকারী মানবাধিকার সংস্থাটি। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসক তাদের এই উদ্যোগের কথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা ও শিল্প-সাহিত্যে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দেশ, যেখানে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সামাজিক আন্দোলন এবং সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সংগীত ও শিল্প-সংস্কৃতি ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সংগীত শিক্ষা শুধু বিনোদনের বিষয় নয়- এটি মানসিক বিকাশ, নৈতিক শিক্ষা, সৃজনশীলতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। এই ঐতিহ্যকে রক্ষা ও বিকশিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং সামাজিক সম্প্রীতির অপরিহার্য শর্ত।

    এই প্রেক্ষাপটে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি শুধু সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি নয়, বরং আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে-শিশুদের সার্বিক মানসিক বিকাশের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও চর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । তবে দুঃখজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু গোষ্ঠী সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিকে সামনে রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিল্প-সংস্কৃতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।এ ধরনের প্রচেষ্টা কেবল অযৌক্তিকই নয়, বরং সমাজকে একপেশে করে তোলার ঝুঁকি তৈরি করছে, যার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক ফলাফল আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সংস্কৃতির ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দৃঢ়ভাবে মনে করে, বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে, সেটি আলাদা নীতিগত আলোচনার বিষয়ও হতে পারে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি উত্থাপন করা যেতে পারে। তবে কোনো অবস্থাতেই সেই দাবিকে অজুহাত করে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ব্যাহত করা কিংবা সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের মতো দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের প্রচেষ্টা কেবল সাংস্কৃতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না, বরং সামাজিক সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদী চেতনার ওপর আঘাত হানে।

    বিআলো/ইমরান

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930