ফেনী হানাদারমুক্ত দিবসে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ
আবুল হাসনাত তুহিন, ফেনী: ৬ ডিসেম্বর—ফেনী হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার-আলবদরদের পরাজিত করে ফেনীকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। দিনটিকে স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ফেনীতে পালন করা হয়েছে মুক্ত দিবস।
সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মনিরা হক এর নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ফেনী জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানসমূহও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
মুক্তিযোদ্ধারা এ উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বরের সেই ঐতিহাসিক দিনের স্মৃতিচারণ করেন। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরাচারী শক্তি গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলতে না পারে।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিভিন্ন সংগঠনের র্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মনিরা হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন—বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবু নাছের চৌধুরী, সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু তাহের, সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম, জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা একরামুল হক ভূঞা, এবং হেফাজতে ইসলাম ফেনীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক।
জেলা প্রশাসক মনিরা হক বলেন, “৬ ডিসেম্বর আমাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ফেনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনে অসামান্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে অঞ্চলটিকে হানাদারমুক্ত করেছিলেন। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁদের সেই অবদান স্মরণ করছি।”
বিআলো/তুরাগ



