ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে: খায়রুল কবির খোকন
বিআলো প্রতিবেদক: সচিবালয়ে রহস্য জনকভাবে আগুন লেগেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেন, দুদক যখন দুর্নীতি অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট চেয়ে চিঠি দেয়। দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের রিপোর্ট চাওয়ার তিন দিনের মাথায় একই বিল্ডিং-এর দুই পাশে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এমন দুটি জায়গায় আগুন লেগেছে যেখানে গুরুত্বপূর্ণ সকল ফাইল রয়েছে। যে ফাইলগুলোতে দুর্নীতি এবং অর্থপাচারের রিপোর্ট ছিল, সে ফাইলগুলো সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে সব দুর্নীতির তথ্য দুদকের হাতে না পড়ে।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের যে সব আমলারা এখনো ঘাপটি মেরে সচিব, উপ-সচিব, এডিশনাল সচিব হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে বসে আছেন, তাদেরকে রেখে দেশের উন্নয়ন হবে না। তাদেরকে বহাল রাখলে দেশে গ্যাস, বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবেই। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবে। তাদেরকে হঠানোর পরই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে গত ১৬ বছরে ২৭ লক্ষ কোটি টাকা শেখ হাসিনা বিদেশে পাচার করেছে। ১৮ লক্ষ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণের বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। বিভিন্নভাবে দেশে লুটপাট করার কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো অর্থনৈতিক যে বিপর্যয় তা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। কারণ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও এখনো তাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের সিন্ডিকেট ভাঙার আগপর্যন্ত এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা যাবে না।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাধবদীতে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাধবদী স্কুল সুপার মার্কেটে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আব্দুল মোমেন মোল্লা।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ভিপি এম.এ জলিল, এডভোকেট আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া, বিজি রশিদ নওশের ও সাবেক ভিপি খবিরুল ইসলাম বাবুল, নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী, মাধবদী শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) মো. কাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
বিআলো/শিলি