বয়সী পুরুষও বাবা হতে পারেন, তবে সতর্কতা জরুরি
বিআলো ডেস্ক: বয়স বাড়লেও পুরুষরা থেমে যান না- তবে নতুন গবেষণা বলছে, ৪০ বছরের পর শুক্রাণুর মান ও উৎপাদন হ্রাস পেতে শুরু করে, যা ভবিষ্যৎ সন্তানের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্রিটেনের খ্যাতনামা ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা ২৪ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৮১ জন পুরুষের শুক্রাণু বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণুর জিনে প্রতি বছর গড়ে ১.৬৭টি নতুন মিউটেশন ঘটছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ৪৩ বছর বয়স পেরোনোর পর শুক্রাণুর মান দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে।
গবেষকরা বলছেন, বয়সী পুরুষরা বাবা হতে সক্ষম হলেও শুক্রাণুর গুণগত মান কমার কারণে শিশুর জন্মকালীন ওজন কমে যেতে পারে, প্রিম্যাচিউর জন্মের ঝুঁকি থাকে এবং কিছু ক্ষেত্রে স্নায়ুজনিত রোগ বা জন্মকালীন হৃৎযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, পুরুষদের শুক্রাণুর মান সবচেয়ে ভালো থাকে ২৫-৩০ বছর বয়সে। শরীরিক অবস্থা ভালো থাকলে ৩২-৩৩ বছর পর্যন্ত বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তুলনামূলক কম। তবে অনেকেই বেশি বয়সে বাবা হচ্ছেন। উদাহরণ হিসেবে হলিউড অভিনেতা আল পাচিনো, যিনি ৮৩ বছর বয়সে চতুর্থ সন্তানের বাবা হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে বাবা হওয়ার পরিকল্পনা করা পুরুষদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন-
* সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা
* ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলা
* প্রয়োজন মনে করলে আগেভাগে শুক্রাণু সংরক্ষণ (sperm freezing) করা
গবেষকরা সতর্ক করছেন, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণুর জেনেটিক পরিবর্তন ও গুণগত মান হ্রাস পাওয়ায় পিতৃত্বের ঝুঁকি বাড়ে, তবে এটি কোনো নির্দিষ্ট বয়সে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয় না।
বিআলো/শিলি



