বস্তিবাসীদের জন্য নির্মিত হবে আধুনিক ফ্ল্যাট: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর বস্তিবাসীদের জন্য উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার মহাখালীর টিএন্ডটি কলোনির মাঠে কড়াইল বস্তিবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবিরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কড়াইল বস্তিতে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সকলের জন্য মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বস্তিবাসীদের উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে তারা বসবাসের সুযোগ পাবেন।
রাজধানীর মিরপুরে ইতোমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ৫৩৩টি ভাড়া ভিত্তিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানকার বস্তিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সেখানে বসবাস করছেন। টঙ্গীর দত্তপাড়া ও মহাখালীর কড়াইল বস্তিতেও একই ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বস্তিতে বসবাসকারীরা যথাযথ ভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাবদ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়। অথচ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তারা পায় না। পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পরও তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে। এসব ফ্ল্যাট নির্মিত হলে স্বল্প ভাড়ায় তারা আধুনিক জীবনযাপনের সুযোগ পাবেন। অবস্থানরত কোনো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ না করে তাদেরকে বিদ্যমান স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এসব ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
বিআলো/শিলি