বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় দ্যা কার্টার সেন্টার আয়োজনে বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প আওতায় ডিএসসিসির ২৬ জন নারী কাউন্সিলারের জন্য তথ্য অধিকার এবং জেন্ডার বিষয়ক ট্রেনিং এর আয়োজন করা হয়।
গতকাল, ২৯ মে (বুধবার) দক্ষিন সিটি করপোরেশনের বুড়িগঙ্গা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্যা কার্টার সেন্টার বাংলাদেশ’র চীফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব)।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি মেরিয়া রেনডন-লেবেডান, ডেপুটি ডাইরেক্টর, এবং সচিব আকরামুজ্জামান (যুগ্নসচিব), ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন।
প্রকল্প অবহিতকরণ এবং পরিচিতি সভার শুরুতে সুমনা সুলতানা মাহমুদ, প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রারম্ভিক বক্তব্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু, সমাজের অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই কর্মসূচির গুরুত্ব ও ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আমরা যদি একজন আরেকজনের পাশে থেকে একই সাথে সরকারের উন্নয়ন সহযোগীর ভূমিকা পালন করি তাহলেই আমাদের কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন হবে।
সূত্র জানায়, দ্যা কার্টার সেন্টার বাংলাদেশ’র সহযোগিতায় ৫বছর মেয়াদে ঢাকা সহ প্রকল্পের ৪টি জেলা শহর রাজশাহী, সিলেট, সাতক্ষীরা এবং খাগড়াছড়ি কার্য পরিচালনা করছে। দ্যা কার্টার সেন্টার বাংলাদেশ ঢাকার সহযোগী সংস্থা এমআরডিআই এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন পাশাপাশি রাজশাহীতে এসােসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, সিলেটে ইসস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট, সাতক্ষীরায় অগ্রগতি সংস্থা এং খাগড়াছড়িতে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতে দ্যা কার্টার সেন্টারের আরো ৬ বিভাগে কার্যক্রম প্রসারিত করার পরিকল্পনার রয়েছে।
দ্যা কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানান, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলার পাশাপাশি, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবে।
বিআলো/তুরাগ