বাউফলে বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
মো. তরিকুল ইসলাম (মোস্তফা),বাউফল (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির ঘোষিত মনোনয়ন নিয়ে তীব্র অসন্তোষের জেরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর, বাউফল বাজার সড়ক ও গোলাবাড়ি এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা। তিনি বলেন,
“বাউফল আসনটি নিয়ে দীর্ঘদিন দলের ভেতরে প্রত্যাশা ও শ্রম ছিল। মনির ভাই ১৭ বছর ধরে জেল–জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও মাঠে ছিলেন। আমরা হাই কমান্ডকে অনুরোধ করছি—মনোনয়নকে পণ্য হিসেবে নয়, ত্যাগ-অবদান বিবেচনায় পুনর্মূল্যায়ন করা হোক। শহিদুল আলম তালুকদারকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দিলে আমরা মানতে পারব, কিন্তু বর্তমান সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা জরুরি।”
এ সময় বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম মিজানুর রহমান খোকন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ পলাশসহ স্থানীয় নেতারা। বক্তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে মনোনয়ন প্রদান করায় দলীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনজন—সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার, সহ–দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, এবং এ কে এম ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ তালুকদার। সব আসনে মনোনয়ন ঘোষণার পরও পটুয়াখালী–২ আসনটি কয়েক সপ্তাহ ফাঁকা রাখা হয়। অবশেষে ৪ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারকে মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি।
তবে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই দলের অপর দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা দলীয় কার্যালয় ও পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্লোগান দেন। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানান, তৃণমূলের মতামত বিবেচনায় এনে মনোনয়ন পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে; অন্যথায় তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলমান। মনোনয়ন ঘোষণার পর সেই বিরোধ আরও প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিআলো/ইমরান



