বাউফলে মনোনয়নবিরোধী মশাল মিছিল: মাঠের কর্মীদের মধ্য থেকেই প্রার্থী চাই – বিএনপি
মো. তারিকুল ইসলাম (মোস্তফা),বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাউফল উপজেলা শাখার উদ্যোগে একটি বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় (৯ ডিসেম্বর) বাউফল উপজেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে গোলাবাড়ি হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাউফল উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী রাশেদ মাহমুদ, মাসুদুর রহমান, আবুল কালাম, বগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান বাবুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজী মাসুম বিল্লাহ পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মো. খলিলুর রহমান, তাঁতি দলের বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি জামাল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি মোশারফ হোসেন লিটন এবং ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমানসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা।
পথসভায় নেতারা বক্তব্য রাখেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, “২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদারের বিরুদ্ধে গিয়ে জাপানি ফিরুজ আনারস প্রতীক নিয়ে লড়েছিলেন এবং তার পক্ষে কাজ করেন। দীর্ঘদিন যারা মাঠে পরিশ্রম করেছেন—তাদের মধ্য থেকেই মনোনয়ন দিলে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা হাইকমান্ডের কাছে এ দাবি জানাচ্ছি।”
পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ পলাশ বলেন, “গত ১৭ বছরে মাঠে সক্রিয় ছিলেন দুইজন—মো. মুনির হোসেন, যিনি বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক; এবং ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার, যিনি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। এ দু’জনের যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দিলে আমরা তা মেনে নেব। অন্যথায় আন্দোলন চলবে।” উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী রাশেদ মাহমুদ দাবি করেন, “তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে অযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এমন প্রার্থী হলে বাউফল উপজেলা বিএনপির স্বার্থ ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। তাই তৃণমূলের মতামত না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।”
স্থানীয় নেতারা আরও বলেন,
“তাদের পূর্ণ মতামত ও মাঠের বাস্তবতা বিবেচনা না করে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হলে তা দলের ঐক্য এবং সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই হাইকমান্ডকে পুনর্বিবেচনার দাবি জানাই।” বক্তারা জানান, “যতক্ষণ না স্থানীয় নেতৃত্বের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।” মিছিল ও পথসভায় স্থানীয় শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
বিআলো/ইমরান



