বাগেরহাটে রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রমে পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার
মাসুম হাওলাদার, বাগেরহাট: বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পুরাতন জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছে রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে স্বেচ্ছাশ্রমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুল, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি এবং রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পুকুরটি পরিষ্কার উদ্যোগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মামুন বলেন, “এই পুকুরটি আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির উৎস। বহুদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেননি। রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা কচুরিপানা পরিষ্কারে যে উদ্যোগ নিয়েছে, এতে আমরা আনন্দিত।”
রেডক্রিসেন্ট বাগেরহাট ইউনিটের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি জানান, সকাল থেকে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এ কাজে অংশ নিয়েছেন। বিকেল নাগাদ পুরো পুকুর কচুরিপানামুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী। ভবিষ্যতে শহরের সব জলাশয়ের পানি পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি শহরের হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর কথা জানান তিনি।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই পুকুরটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে শিল্পকলা একাডেমি, পুরাতন জেলখানা জামে মসজিদ, স্বাধীনতা উদ্যান ও শহীদ মিনার। তিন পাশে প্রধান সড়ক ঘেরা এই পুকুরটি বহু বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও আশপাশের হোটেল-রেস্টুরেন্টের পানির উৎস ছিল। তবে ছয় বছরের বেশি সময় ধরে কচুরিপানা জমে পুকুরটি অচল অবস্থায় ছিল। এতে জেলখানা মসজিদের মুসল্লিদের দূষিত পানিতে অজু করতে হতো এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও বাধ্য হয়ে সেই পানিই ব্যবহার করতেন।
স্থানীয়দের আশা, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুকুরটি আবারও তার আগের মতো স্বচ্ছ ও ব্যবহারযোগ্য হবে।
বিআলো/ইমরান



