• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কমরেড রনো 

     dailybangla 
    13th May 2024 5:51 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনোর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

    ১৩ মে, সোমবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের পাশে দাফন করা হয় জীবনভর মেহনতি মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে থাকা এই কমিউনিস্ট নেতাকে।

    এর আগে জানাজার জন্য তাঁর মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।

    সকালে সিপিবির দলীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রনোর মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার ভূমিকাকে গার্ড অব অনারে ভূষিত করে রাষ্ট্র। গার্ড অব অনারের পর সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত নানা স্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান।

    পরিচিত ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা বলেন, সারা বিশ্বেই বাম ঘরানার বহু মানুষ একটা সময় ডানপন্থায় ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হন। কিন্তু ছয় দশকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এমন কোনো নজির নেই হায়দার আকবর খান রনোর। আদর্শ আর ন্যায়ের প্রতি অবিচল ছিলেন ‘রনো ভাই’। ৮২ বছরের জীবনে রাজনৈতিক কারণে চারবার কারাবরণ এবং সাতবার আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন এই বামপন্থী নেতা।

    হায়দার আকবর খান রনোর বিশ্বাস ছিল, মানুষের ইতিহাস হলো সাম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস। স্পার্টাকাস থেকে শুরু করে সূর্যসেন- সবাই মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করে গেছেন। ফলে পুঁজিবাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু ইতিহাসের চূড়ান্ত রায় এখনও অধরা। জীবিত রনো মৃত্যুর পর আরও বেশি বলবান- সেই বিশ্বাস তার আদর্শিক সৈনিকদের।

    এর আগে, গত ১০ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মার্কসবাদী তাত্ত্বিক হায়দার আকবর খান রনো। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যায় পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে এর আগে জানান হাসপাতালটির পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হায়দার আকবর খান রনোকে হাসপাতালটির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেয়া হয়।

    হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক প্রবাদ পুরুষ। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। তাঁর মায়ের নাম কানিজ ফাতেমা মোহসিনা ও বাবা হাতেম আলী খান। ১৯৬১ সালে তিনি তদানীন্তন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এই দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে পরিগণিত হন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। ২০১০ সালে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টি পরিত্যাগ করে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। তখন থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। পরে তাকে পার্টির উপদেষ্টা করা হয়।

    ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে রনো ছিলেন অন্যতম নেতা। তিনিই প্রথম সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছিলেন (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২)। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন পূর্ব বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক।

    কমরেড রনো ছিলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের সৈনিক। ১৯৯০ সালের এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি।

    হায়দার আকবর খান রনোর একমাত্র ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ প্রয়াত হায়দার আনোয়ার খান জুনো।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    May 2025
    M T W T F S S
     1234
    567891011
    12131415161718
    19202122232425
    262728293031