বায়তুল মোকাররমে বিএনপির নেতাদের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুগান্তর প্রত্রিকার প্রথম পাতায় ‘বায়তুল মোকাররম মার্কেট মাফিয়া চক্রে বন্দি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বায়তুল মোকাররম মার্কেট ব্যবসায়ী সমাজ।
ব্যবসায়ী সমাজ বলেন, যুবদলের জনৈক নেতা টিপু মামা, জিয়া উদ্দিন ও শহীদ। এছাড়া বিএনপির তমিজ উদ্দিন, কামাল, ফিরোজ, বাবুল ওরফে কলম বাবুল নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের নাম জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউজ করা হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আড়ালে থেকে ভালো মানুষের নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যা নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটের গডফাদার হিসাবে এক নামে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব উদ্দিন ওরফে গাজী সোহরাব। তিনি আওয়ামী লীগের বায়তুল মোকাররম ইউনিটের সভাপতি। স্থানীয় ফুটপাতে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে দখল, চোরাচালান এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বাণিজ্যের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ সোহরাবের হাতে। এছাড়া মার্কেট এলাকায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন সোহরাব। স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত মজিবর ও কালু তার ডান হাত হিসাবে কাজ করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সোহরাবের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের আধারা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামে। হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সোহরাব এক সময় বায়তুল মোকাররম এলাকায় হকারি করতেন। একপর্যায়ে রাজনীতির খাতায় নাম লিখিয়ে নেতা বনে যান। বর্তমানে চাঁদাবাজির টাকায় সোহরাব অঢেল সম্পদের মালিক। শুধু বায়তুল মোকাররম মার্কেটেই নামে-বেনামে তার দোকান সংখ্যা অন্তত ১৫টি। এছাড়া ১০ বছর যাবৎ নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে তিনি মার্কেটের ৩ নম্বর গুদাম দখল করে নেন। পরে সেখানে অবৈধভাবে ৭টি দোকান নির্মাণ করা হয়। একেকটি দোকান বিক্রি হয় দেড় কোটি টাকা করে। এছাড়াও বায়তুল মোকাররম ইউনিটে সাধারণ সম্পাদক কালু প্রতিদিন বায়তুল মোকাররম এলাকায় থেকে হারুনের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হতো যা মাসে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও বায়তুল মোকাররম ইউনিটে সাধারণ সম্পাদক কাল্লু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইসলামী
ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকারম মার্কেট থেকে দেড় কোটি টাকার দোকান ২৫ লাখ টাকায় বরাদ্দ নিয়েছে। বর্তমানে দোকানটির নাম এক্টিভ টাইমস ঘড়ির দোকান। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির নেতাদের নামে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।
এই নিউজটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা। স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এই ধরনের তথ্য দিয়ে নিউজ করা হচ্ছে। যুবদলের জনৈক নেতা টিপু মামা, জিয়া উদ্দিন ও শহীদ। এছাড়া বিএনপির তমিজ উদ্দিন, কামাল, ফিরোজ, বাবুল ওরফে কলম বাবুল চাঁদাবাজি ও দখল দারিত্বের কাজ কখনই করেনি। । বরং আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বারা ভয়ে দিন কাটাতেন বায়তুল মোকাররম মার্কেট ব্যবসায়ী সমাজ।
বিআলো/তুরাগ