বায়রার এজিএমে লাঞ্ছনার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
মো. ইব্রাহীম হোসেন: ধাক্কা ধাক্কি, হাতাহাতি আর হট্টগোলের মধ্য দিয়ে পণ্ড হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রার) ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করায় এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বায়রার একাংশের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। বায়রার সিনিয়রসহ সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম জানান, মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করায় চটে যান বায়রার সভাপতি ও মহাসচিবের একটি গ্রুপ। এতে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
মালেশিয়ার শ্রমবাজারে ভোগান্তির পেছনে সিন্ডিকেটের কালো থাবা পড়েছে। এই সিন্ডিকেটের কবলে দেশের শ্রমবাজার জিম্মি বলেও অভিযোগ করেন তারা। তাই সংগঠনে শৃঙ্খলা ফেরাতে অনিয়মকারীদের আইনের আওতায় আনারও দাবিও জানিয়েছেন এই দুই নেতা।
জানা যায়, সোমাবার সকালে রাজধানীর একটি পাচতারকা হোটেলে বায়রার ৩৩তম বার্ষিক সভা শুরু হয়। সাধারণ সদস্যদের অধিকার ও অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে মঞ্চে বায়রার এক সদস্য বক্তব্য দেয়ার সময় উত্তেজনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, চলে বাগবিতণ্ডা। হেনস্তার স্বীকার হন বায়রার সিনিয়রসহ সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।
বায়রার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রিয়াজ উল ইসলামসহ একাংশের সাধারণ সদস্যরা জানান, সকালে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভার রেশে তাদেরকে লাঞ্ছনা ও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই সংগঠনটির সাধারণ সদস্যদের দাবি অগ্রাহ্য করেছেন।
এছাড়া বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়ায় সাধারণ সদস্যদের বঞ্চিত করা, মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে না পারা, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়, অনিয়ম দুর্নীতি, শ্রমবাজার বন্ধ হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন এই একাংশের নেতারা।