বিএসইসি ও সিএসইর যৌথ উদ্যোগে ‘এএমএল/সিএফটি কমপ্লায়েন্স’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই)-র যৌথ উদ্যোগে “এএমএল/সিএফটি কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড রিস্ক বেসড সুপারভিশন” শীর্ষক একদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রামে সিএসইর প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন, সিএফএ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও মো. আশরাফুল হাসান, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ এবং চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সিএফএ সহ এক্সচেঞ্জের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, “অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ করার প্রচেষ্টাকেই মানি লন্ডারিং বলা হয়। আমাদের পুঁজিবাজারে এখন বহু নতুন প্রোডাক্ট ও সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে কমোডিটি মার্কেটের উদ্যোগের সঙ্গে এই প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু সামনের দিনগুলোতে খুবই কার্যকর হবে।”
প্রধান অতিথি মো. সাইফুদ্দিন, সিএফএ বলেন, “মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ এখন একটি বৈশ্বিক বিষয়। আমাদের বাজার যত বেশি আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্ত হবে, এই বিষয়টির গুরুত্ব তত বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ‘Know Your Customer (KYC)’ নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ক্যাশ ও সিকিউরিটি ট্রানজেকশনগুলো সঠিকভাবে মনিটর করা এন্টি মানি লন্ডারিং আইনের মূল উদ্দেশ্য।” তিনি আরও বলেন, “চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের কমোডিটি এক্সচেঞ্জ উদ্যোগ একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। চট্টগ্রামের শতবর্ষের বাণিজ্য ঐতিহ্য আধুনিক রূপ পেতে যাচ্ছে কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেটের মাধ্যমে।”
বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ এখন জাতীয় স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার প্রশ্ন। এএমএল/সিএফটি কমপ্লায়েন্স শুধু বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এটি আমাদের আর্থিক নিরাপত্তার অন্যতম শর্ত।” তিনি জানান, বিএসইসি প্রতিবছর চারটি ব্যাচে এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে এবং আজকের কর্মশালা ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯’-এর ৩২(৮) বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কর্মশালায় কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও মো. আশরাফুল হাসান “এএমএল/সিএফটি কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড রিস্ক বেসড সুপারভিশন” বিষয়ে বিশদ উপস্থাপনা দেন। সমাপনী বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, “পুঁজিবাজারের প্রতিটি অংশীদার—কমিশন, এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারেজ হাউজ ও মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান—সবাইকে এএমএল/সিএফটি আইন মেনে চলতে হবে। এই বিধিমালা শুধুমাত্র আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, বরং আমাদের বাজারের বিশ্বাসযোগ্যতা ও দেশের গ্রেডিং নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি উপস্থিত সবাইকে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়মনীতি মেনে চলার আহ্বান জানান এবং অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিআলো/ইমরান



