বিজয় দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ ও ভারতীয় যোদ্ধাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সফর
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, যৌথ ত্যাগ ও অটুট বন্ধুত্বকে নতুন করে স্মরণ করতে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের বীর যোদ্ধাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক হৃদ্যতাপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সফর। মুক্তিযুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা দুই দেশের সাহসী যোদ্ধাদের এই পারস্পরিক সফর বিজয়ের চেতনাকে আরও গভীরভাবে ধারণ করার একটি অনন্য উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মহান বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য আটজন বীর সেনানী এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দুইজন কর্মরত কর্মকর্তাসহ মোট ১০ সদস্যের একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল ঢাকায় পৌঁছেছেন। একই সময়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দুইজন কর্মরত কর্মকর্তার একটি প্রতিনিধিদল বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে ভারতের কলকাতায় পৌঁছেছেন।
সোমবার ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফরকালে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের যুদ্ধের বীর সেনানী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসব কর্মকর্তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
অপরদিকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসব বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের নানা দিক তুলে ধরা হয়।
এই বন্ধুত্বপূর্ণ সফর বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় যুদ্ধের বীর সৈনিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিলনমেলার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে এটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি পুনর্জাগরণ, নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্য আরও দৃঢ় করার একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দখলদারিত্ব, নিপীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ ত্যাগের প্রতীক হিসেবেই এই সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। মহান বিজয় দিবসের এই আয়োজন দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বিআলো/তুরাগ



