বিয়ে করলেই মিলছে সরকারি প্রণোদনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জনসংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন সরকার। জন্মহার বাড়াতে দিচ্ছে নগদ অর্থ, বাড়তি ছুটিসহ নানা প্রণোদনা। তবুও বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ছে না দেশটির তরুণদের। যা দেখা গেছে দেশটির বিবাহ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে। শুক্রবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এমন চিত্র।
চীনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল তথ্য অনুসারে, চলতি বছর প্রথম নয় মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে বিয়ের নিবন্ধন। এ সময়ে দেশব্যাপী ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার দম্পতি বিয়ে নিবন্ধন করেছেন। যা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় ৯ লাখ ৪৩ হাজার কম।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে ৫৬ লাখ ৯০ হাজার বিয়ে নিবন্ধন রেকর্ড করা হয়েছিল, যা ২০২২ সালের চেয়ে বেশি। তবে এরপর দেশজুড়ে বাড়তে থাকা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির কারণে অনেক তরুণ বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
এই অবস্থায় তরুণদের বিয়ের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে ও ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে সরকার। ঘোষণা দেওয়া হয় ২৫ বছরের আগে বিয়ে করলেই চীনা তরুণীরা পাবেন নগদ অর্থ পুরস্কার ও বিভিন্ন প্রণোদনা।
এছাড়াও বিয়ে সহজ করতে চীন সম্প্রতি একটি খসড়া আইন সংশোধন করে। যার ফলে অতীতের চেয়ে বিয়ে নিবন্ধন করা অনেক সহজ ও বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। যার প্রভাবও লক্ষ্য করা গেছে বিচ্ছেদ নিবন্ধনের হিসেবে। ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার বিচ্ছেদ নিবন্ধিত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ হাজার কম।
এর আগে চলতি বছর চীন জাতীয় স্তরে টানা দুই বছরের মতো জন্মহারে হ্রাস রেকর্ড করেছে। এই চিত্র উঠে আসার পরই মূলত সরকার নানা প্রকল্প এবং উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের বিয়ে ও সন্তান ধারণের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে উৎসাহিত করার ওপর জোর দেয়। দেওয়া হয় সরকারি নান রকম সুবিধা।
অবশ্য এতকিছুর পরও বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ হারাচ্ছে দেশটির তরুণ- তরুণীরা। যা নিয়ে সরকারের আলোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
যা নিয়ে চিন্তিত চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি বলেন, এ ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবার গঠনের বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন প্রবণতা গড়ে তুলতে হবে।
বিআলো/শিলি