ভারতীয় হাই কমিশনের “আইটেক দিবস ২০২৫” আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা ০১ ডিসেম্বর ২০২৫-এ আইটেক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএএবি)-এর সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন ডে (আইটেক দিবস ২০২৫) উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও মিলনমেলার আয়োজন করে। হাই কমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫০ জন আইটেক অ্যালামনাই অংশগ্রহণ করেন।
সমবেত অতিথিবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে মাননীয় হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা আইটেক-কে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের প্রতি ভারতের অঙ্গীকার হিসেবে তাৎপর্যের সাথে উপস্থাপন করেন, যা অংশীদার দেশগুলোর প্রয়োজন ও অগ্রাধিকারসমূহের ওপর ভিত্তি করে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পাদন করে থাকে। বিগত বছরগুলোতে ৫০০০ জনেরও বেশি প্রফেশনালগণ এই আইটেক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে মাননীয় হাই কমিশনার এই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সেতুবন্ধ হিসেবে, এবং অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যম রূপে ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আইটেক অ্যালামনাইগণকে একটি মঞ্চে একত্রিত করার ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আইটেক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএএবি)-এর অবদানকে স্বীকৃতিও জানান।
এই অনুষ্ঠানে অনেক আইটেক অ্যালামনাই ভারতে তাঁদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করেন। বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বিএইসি), বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বিএলপিএ)-সহ বেশ কিছু অংশীদার সংস্থা থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও এতে যোগদান করেন। এই উপলক্ষ্যটি উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর-প্রোথিত সাংস্কৃতিক সংযোগ উপস্থাপন করে বাংলাদেশি শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় একটি সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আইটেক, ভারত সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি, ১৯৬৪ সালে ভারতের ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বিশ্বের ১৬০ টিরও বেশি দেশে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সুবিধা প্রদান করে আসছে। প্রতি বছর, আইটেক অংশীদার দেশগুলোর জন্য ভারতের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে কৃষি, হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, সুশাসন অনুশীলন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, সংসদীয় কার্যক্রম, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রিমোট সেন্সিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩০০-রও বেশি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১২,০০০-টিরও অধিক প্রশিক্ষণ স্লট প্রদান করা হয়ে থাকে।
বিআলো/এফএইচএস



