ভাসানী-বঙ্গবন্ধু আর হাসিনার আ. লীগ এক নয়: কাদের সিদ্দিকী
অনলাইন ডেস্ক: মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনো দুর্দিন দেখি নাই। কারণ মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আর বর্তমান আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি একটা দল করেছি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে। যার প্রতীক গামছা। দলের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে পাহারা দেওয়া, মানুষের সেবা করা।’
আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘আমি আমার রাজনৈতিক পিতার মুক্তির কারণেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি। সবাই যখন ইঁদুরের গর্তে ছিল, তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। এ জন্য সম্মান পাইনি। মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি কিন্তু যাদের কাছ থেকে পাওয়া দরকার, তাদের কাছ থেকে সম্মান পাইনি বরং অনেক অসম্মান হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা স্কুলের মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা শোক দিবস পালন করতে চেয়েছিলাম। সেখানে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাঙা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভেঙেছিল।’
তৎকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বলেন, ‘আমি আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করেই বেঁচে থাকব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার আদর্শ। কিছু অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আমি সব সময় ছিলাম, আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। আর টুঙ্গিপাড়ার মানুষকে অভিনন্দন জানাই। এ রকম একটা দুর্বিপাকের মধ্যেও তারা জাতির পিতার যথাযথ সম্মান রেখেছে।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাফল্য আমি মনে প্রাণে কামনা করি এবং বিশ্বাস করি। কারণ আগে দেশটা আমার ভালো চলে নাই। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না। আমার প্রেম আমার ভালোবাসা পুরোটাই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিকশাওয়ালা হতাম অথবা রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার পর আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে, কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এখন মানুষের আয়ু একটু বাড়ছে, কিন্তু মানবতা কমেছে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দেশাত্মবোধ কমে গেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করে।’
বিআলো/শিলি