• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    ময়মনসিংহে টানা নতুন করে আরও ২৫ গ্রাম প্লাবিত 

     dailybangla 
    08th Oct 2024 11:47 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ষার শেষে দেশে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। এদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলায় আরও ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) টানা কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী কংস ও নেতাই নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। কংস ও নেতাই নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অন্তত ২৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে উপজেলায় নগদ ৭ লাখ টাকা ও ৬৩ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বৃষ্টি না হলে দ্রুত সময়ের মধ‍্যে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    তিনি আরও বলেন, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারী শিশুসহ কয়েক শতাধিক মানুষ উঠেছে। তাদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    এদিকে কংস নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা ধোবাউড়া উপজেলার আইলাতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশ কয়েকটি ঘরে মঙ্গলবার সকালে পানি ওঠায় দুর্ভোগ বেড়েছে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, কংস নদীর পাড়ে আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্প হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে ঘরের চারপাশে পানি। পোলাপান নিয়ে পানির মধ্যে খুব কষ্টে আছি। গতকাল শুধু একটি সংগঠন আমাদের বিরিয়ানি দিয়েছে, প্রশাসন থেকে কেউ কোনো খোঁজ-খবর এখনও নেয়নি।

    সাহাব উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সকালে পানি বাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। নদীর পাশে আমাদের বসবাস। তাই সবসময় আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাতে হচ্ছে। কখন জানি পানি বেড়ে ঘর ডুবে যায়।

    ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, সকালের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নতুন করে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে নতুন করে আক্রান্ত ১৬টি গ্রাম। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দিনের অবস্থা ভালো থাকলে দু-এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যেতে পারে।

    ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, পঞ্চম দিনে সকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় পানি কিছুটা বেড়েছে, সেইসঙ্গে নতুন কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা বানভাসি মানুষকে শুকনো খাবারের পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ করছি। বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

    এ ছাড়াও হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে হালুয়াঘাটে বন্যার সৃষ্টি হয়। উজানের পানি কমে এখন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এই ১৮ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাময়িকভাবে তাদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি ক্ষতি নিরূপণ করে সামগ্রিক সহযোগিতা করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হবে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2024
    M T W T F S S
     123
    45678910
    11121314151617
    18192021222324
    252627282930