মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন: কে এগিয়ে ট্রাম্প নাকি কমলা?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেয়ার জন্য নির্বাচনে যাচ্ছেন আগামী ৫ নভেম্বর। প্রাথমিকভাবে, এই নির্বাচনে ২০২০ সালের দুই প্রার্থীকেই ফের দেখা যাবে বলে মনে করা হলেও, কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর বদলে যায় সমীকরণ। নির্বাচনী এই লড়াইয়ে তাই ট্রাম্পের মুখোমুখি এবার কমলা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কে?
নির্বাচন থেকে ঠিক ৭ দিন দূরে দাঁড়িয়ে, এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো- প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নাকি দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাবে যুক্তরাষ্ট্র? কী বলছে নির্বাচনী জরিপ?
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ভোটের ওপর এবং হোয়াইট হাউসের দৌড়ে প্রচারণার কী প্রভাব পড়বে- সেদিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন গোটা বিশ্ব।
জরিপে কে এগিয়ে?
জুলাইয়ের শেষ দিকে নির্বাচনী দৌড়ে প্রবেশ করার পর থেকে জাতীয় এক জরিপের গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন কমলা।
প্রচারণার প্রথম কয়েক সপ্তাহে ব্যাপক সমর্থন দেখা যায় হ্যারিসের পক্ষে, যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে প্রায় চার শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে (ট্রাম্পের তুলনায়) যান তিনি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর দুই প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র বিতর্কের পরেও, সেপ্টেম্বরজুড়ে এই সংখ্যা (জরিপের ফল) তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে। যার ফলে মিলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আভাস।
একজন প্রার্থী সারা দেশে কতটা জনপ্রিয় তা বোঝার জন্য এ ধরনের জরিপের ফল গুরুত্বপূর্ণ হলেও, নির্বাচনের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এটি সঠিক কোনো উপায় নয়।
কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে, যার অধীনে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে তার জনসংখ্যার আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কয়েকটি ভোট দেয়া হয়। মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন, তিনিই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষের ভোট বেশি পেয়েও জয়ের নিশ্চয়তা নেই কোনো প্রার্থীর।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে, যেখানকার বেশিরভাগ ভোটার প্রায় সবসময় একই দলকে ভোট দেয়। যদিও এমন কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যেখানে উভয় প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলোই ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেটস হিসেবে পরিচিত, যেখানে নির্ধারিত হবে নির্বাচনে জয়-পরাজয়।
সুইং স্টেটে কে জিততে পারেন?
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সুইং স্টেট খ্যাত এমন ৭টি রাজ্যকে মূল লড়াইয়ের কেন্দ্র ভাবা হচ্ছে যেগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোতে কেউ এগিয়ে বা পিছিয়েও নেই।
নির্বাচনী প্রচারণায় নামার পর কমলা হ্যারিস কিছু রাজ্যে পরিবর্তন (জরিপের ফলে) আনতে পেরেছেন। কিন্তু জাতীয় জরিপগুলোতে সব রাজ্যের পুরোপুরি চিত্র প্রতিফলিত হয় না।
অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাদা এবং উত্তর ক্যারোলিনায় আগস্টের শুরু থেকে কয়েকবার জরিপের ফলে পরিবর্তন এসেছে। তবে এই মুহূর্তে সবগুলোতেই সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
অন্য তিন অঙ্গরাজ্য- মিশিগান, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনে আগস্টের শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন কমলা হ্যারিস (কখনও কখনও দুই বা তিন পয়েন্টে)। তবে সম্প্রতি সেই ব্যবধার কমে এসেছে এবং পেনসিলভানিয়াতে এখন খুব কম ব্যবধানে এগিয়ে ট্রাম্প।
বিআলো/শিলি