মালয়েশিয়ায় আটকে দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন আজহারী
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২ অক্টোবর হঠাৎ করেই দেশে আসেন দেশের জনপ্রিয় ধর্মীয় আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী। সপ্তাহখানেক পর গতকাল শুক্রবার আবারও মালয়েশিয়া ফিরে গেছেন তিনি। তবে মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। পরে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভেরিফিকেশনে একটু সময় নিয়েছিল। আমি ঠিক আছি। অযথা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
এদিকে আজহারিকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে বিমানবন্দরের ওয়েটিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আজহারির বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ এখনো দেশটির ইমিগ্রেশন সার্ভারে রয়ে গেছে। ইমিগ্রেশন থেকে দূতাবাসে যোগাযোগ করলে কোনো রেসপন্স না পাওয়ায় তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়েছিল।
এর আগে, শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় এ ইসলামি বক্তা। ফেসবুকে তিনি লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলেম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেওয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইল।
তিনি আরও লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাসখানেক পর আবারও দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়তো কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে, সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।
বিআলো/শিলি