মাস্টার্সেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে: ঢাবি উপাচার্য
ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ও অগ্রায়ন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. রাশেদা ইরশাদ নাসির এবং বিভাগের শিক্ষকরা।
উপাচার্য বলেন, এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়তে যায়। দু- একজন হয়তো শ্রেণির বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ, যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচি নির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যান-জ্ঞান হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, সে কারণে আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভর্তি করি, সে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে ভর্তি করার প্রয়োজন আছে কি না, তা ভাবতে হবে। এখন কেবল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে পরীক্ষার ভিত্তিতেই মাস্টার্সে ভর্তি করানো আইনগতভাবে বৈধ কি না, তাও আমাদের ভাবতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাস্টার্সে যারা যাবে, তারা সংখ্যায় বেশি হবে না। যারা বিষয়ের ওপর গবেষণা করবে, ক্যারিয়ার নির্মাণ করবে— তারা হয়তো মাস্টার্সে পড়াশোনা করবে।
উপাচার্য বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আগামী বছর থেকে হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে হবে। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরিতেও একই প্রক্রিয়ায় চালু করছি। যারা কেবল বিসিএস পড়তে যায়, তারা আগামী মাস থেকে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে পারবে না।
সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমার শেকড় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল বলেই বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। সাংবাদিকতা বিভাগ বৈচিত্র্যময়। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা নানা জায়গায় অবদান রাখছেন।
সাংবাদিকতা পেশায় শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যে কেউ চাইলে সাংবাদিক হয়ে যান। হাতে একটি ফোন থাকলেই হয়; এটি অপ-সাংবাদিকতা। এসব বিষয় নিয়ে একটি সেমিনার করা যেতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, করোনার কারণে অনেকগুলো ব্যাচকে আমরা নবীনবরণ ও অগ্রায়ন দিতে পারিনি। দীর্ঘদিন পর আবারও সে সুযোগ হলো। সামনে তা অব্যাহত থাকবে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভাগের ৯ম, ১০ম, ও ১১তম ব্যাচকে অগ্রায়ন এবং ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচকে নবীনবরণ দেওয়া হয়।
বিআলো/শিলি