• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন প্রধান উপদেষ্টা: মাহমুদুর 

     dailybangla 
    03rd Jun 2025 8:00 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘কোনো জবাবদিহি করেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, একটি মাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, এ বক্তব্যের বিষয়ে উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি এবং মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। এমনকি সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।

    মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সঞ্চালনা করেন দলটির সহসভাপতি ফারুক হাসান।

    মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‌‘অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরের আগে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়। এ বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এটা কি তার মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির বলা সাজে? ২৯টি দল ইতোমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। এ ভুল কি করে হয়?’

    তিনি আরও বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করলেও, সেখানে রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট কথা বলেননি। অনেক সময় তিনি প্রশ্ন শুনে উত্তর না দিয়ে শুধু মিষ্টি হেসে উঠে যান।’

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নির্বাচন নিয়ে বিরাজমান বিভ্রান্তির দিকে ইঙ্গিত করে মান্না বলেন, ‘একদিকে বিদেশি পরামর্শদাতা বলছেন, হিউম্যান করিডর নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যদিকে দেশের নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, এমন কোনো আলোচনা হয়নি। এতে বিভ্রান্তি বাড়ছে।’

    জুন মাসে নির্বাচন আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মান্না বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর মতো দলও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। তাহলে জুনের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ায় নির্বাচন কেন?’

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সতর্কতা জানিয়ে মান্না বলেন, ‘শক্তি থাকলেই দেশ চালানো যায় না। ভুল নীতির ওপর দাঁড়িয়ে সরকার পরিচালনা করলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।’

    প্রতিবেশী ভারতের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, ‘প্রতিবেশী একটি দেশ স্বৈরাচারী শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এতে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অতীতে যেমন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ টার্গেট হয়েছিল, তেমন পরিস্থিতি ফের তৈরি হচ্ছে।’

    আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম এবং গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

     

    বিআলো/সবুজ

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930