মুন্সীগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি এলাকাবাসীর
সিরাজদিখান (মুন্সগিঞ্জ) প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. সজলের হত্যা মামলায় সিরাজদিখান উপজেলার মৃত নারায়ণ দেবনাথের ছেলে বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও সিরাজদিখান উত্তর আবিরপাড়া গ্রামের সামছুল খানের ছেলে মো. আলম খানের নাম অন্তর্ভুক্তের প্রতিবাদে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গত শনিবার সিরাজদিখান আবিড়পাড়া বিশ্বজিৎ দেবনাথের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্বজিৎ দেবনাথ, মো. আলম খান এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রশুনিয়া ইউনিয়ন শাখার অর্থ সম্পাদক এবং অ্যাডভোকেট সমরেশ নাথের কাকা মৃত নারায়ণ দেবনাথের ছেলে বিশ্বজিত দেবনাথ ও সিরাজদিখান উত্তর আবিরপাড়া গ্রামের সামসুল খানের ছেলে মো. আলম খান বিগত সময়ে মুন্সীগঞ্জ ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর ইসলামপুর এলাকার আলী আকবর মোল্লার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম গত ৪ অগাস্ট ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার উপরে হামলা মামলার হয়রানির শিকার হয়েছেন। যার মামলা নং-৩১ তারিখ-২০-০৯-২০২৪ আসামি নং-৩০০ এবং ৩০১। দুঃখের বিষয় হলো যে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ৪ অগাস্ট ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার উপরে হামলা মামলায় যে দু’জনকে আসামি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক এবং বানোয়াট।
এ সময় এলাকাবাসী দাবি করেন, মৃত নারায়ণ দেবনাথের ছেলে বিশ্বজিত দেবনাথ ও সিরাজদিখান উত্তর আবিরপাড়া গ্রামের সামছুল খানের ছেলে মো. আলম খানের বিরুদ্ধে মো. সাইফুল ইসলামের দেওয়া মামলাটিতে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করেছেন তারা ওই সময় ওই এলাকায় ছিলেন না, তাদের কোনোরূপ সম্পৃক্ততা নেই তা সম্পূর্ণ ভত্তিহীন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিন কোনো কথা বলতে রাজী হননি। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান রশুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শ্যামল কাজী, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোতাহার হোসেন জানায়, বিশ্বজিত দেবনাথ ও মো. আলম খান তারা নিরীহ, সহজ-সরল প্রকৃতরি লোক। এলাকার কারো সঙ্গে কোনো দিনই তাদের বিরোধ হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে যে মামলা দায়ের করেন উক্ত দুই বিবাদী অজ্ঞাত ছিল বোধ হয় বাদীর। এই মামলার সঙ্গে তারা কোনো প্রকার জড়িত নেই বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিশ্বজিত দেবনাথ ও মো. আলম খান বলেন, ৪ আগস্ট আমরা মুন্সীগঞ্জে ছিলাম না। আমরা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আমাদের এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মামলা থেকে অব্যহতি চাই। সর্বশেষ এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ জানাই। নোংরা রাজনীতির শিকার নিরপরাধ বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. আলম খানকে মামলা থেকে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বিআলো/তুরাগ