• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ 

     dailybangla 
    12th Oct 2024 9:18 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) শীর্ষ পাঁচ রপ্তানিকারক দেশেরই রপ্তানি কমলেও অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বেশি কমেছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

    এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক আমদানি করেছেন। এই আমদানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ১১ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চীন। তাদের দখলে রয়েছে পোশাকের ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ বাজার হিস্যা। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ১ হাজার ৬৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে দেশটি, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম।

    মার্কিন বাজারে দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ পাঁচ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ভিয়েতনামই দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা আলোচ্য জানুয়ারি-আগস্ট আট মাসে ৯৫৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৯৬৬ কোটি ডলারের রপ্তানির চেয়ে ১ শতাংশ কম।

    অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক যথাক্রমে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানিও কমেছে। গত জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে ভারত রপ্তানি করেছে ৩২১ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। তাদের রপ্তানির পরিমাণ ২৬৮ কোটি ডলার।

    আর অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে মোট ৪৭১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ কম। গত বছর একই সময়ে দেশটিতে ৭২৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে এই বাজারে বাংলাদেশ তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক। তৈরি পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজার হিস্যা এখন ৯ শতাংশ।

    তবে যুক্তরাষ্ট্রে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৬৫ কোটি ডলার। ওই বছরের এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর দেশটিতে পোশাক রপ্তানি কমে যায়। তবে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আবার অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি বাড়তি শুল্ক থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। মাঝে করোনার ধাক্কার পর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রেকর্ড ৯৭২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ।

    যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আবার রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ বছরের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান, বন্যা ও শ্রম অসন্তোষের কারণে টানা তিন মাস পোশাক খাতের উৎপাদন ও রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ে আশাবাদী পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

    এ ব্যাপারে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি নিত্যপণ্য নয় এমন পণ্যের বিক্রি কমেছিল। তার প্রভাবে আমাদের রপ্তানি কমেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতার কারণে বিদেশি ক্রেতারা কিছুটা শঙ্কার মধ্যে আছে। তবে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে আমরা দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াব।

    তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ে আশাবাদী। তার মাধ্যমে আমরা যদি দেশটি থেকে কোনো ধরনের শুল্ক সুবিধা নিতে পারি, তাহলে আমাদের রপ্তানি বাড়বে। সূত্র: প্রথম আলো

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    December 2024
    M T W T F S S
     1
    2345678
    9101112131415
    16171819202122
    23242526272829
    3031