যেসব কারণে অস্ট্রেলিয়াতে জনসংখ্যা বাড়ে না
বিআলো ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার জন্মহার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। গেল বছরের জনসংখ্যার পরিসংখ্যানে এক লাখ শিশু যোগ হয়েছে আর প্রবাসী যুক্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার লাখ। জনসংখ্যার ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ থেকে দক্ষ জনবলকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তর দেশ অস্ট্রেলিয়া। এই দেশের মাত্র ৫ ভাগ জায়গায় মানুষ বসবাস করে। বাংলাদেশের থেকে প্রায় ৫২ গুণ বড় দেশের জনসংখ্যা ৩ কোটিরও কম। এর কারণ ইতিহাসের নির্মমতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দেশটিতের প্রায় ৯৫ ভাগ জায়গা জনবসতিহীন। অস্ট্রেলিয়া দেশজুড়ে সবত্র মানুষের দেখা পাওয়া যায় না। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ বাস করে সমুদ্র উপকূলের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। ২০২৪ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মাত্র দুই দশমিক এক শতাংশ।
করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দু’বছর পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অর্থনীতির চাকা সচলে দেশটিতে কর্মক্ষম ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমোদন দেয় সরকার।
এর ফলে জনসংখ্যা কিছুটা বাড়লেও গেল বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেয়া শিশুর সংখ্যা মাত্র ১ লাখের মতো। একই সময়ে ভিনদেশি মানুষ এসেছে প্রায় সাড়ে চার লাখ।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের সংখ্যা এক লাখের কাছাকাছি। তাদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষা নিতে এসে স্থায়ীভাবে থেকে যান। অস্ট্রেলিয়ায় অদক্ষ জনবল আসার সুযোগ না থাকায় এখানে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা খুব বেশি বাড়েনি। তবে ২০২৩ সালে ১৪ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে। ২০২৪ সালে সে সংখ্যাটি আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই দেশের আদিবাসীরা কৃষ্ণবর্ণের। যারা গুহায়, বনে, জঙ্গলে থাকতো। অস্ত্র-সস্ত্র বানিয়ে বনের পশুপাখি শিকার করতো, সমুদ্র থেকে মাছ ধরে খেতো। ১৬০৬ সালে ইউরোপিয়ানরা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করে। ১৭৮৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অস্ট্রেলিয়াকে ধীরে ধীরে তাদের কলোনিতে পরিণত করে। ব্রিটেন থেকে খুনী, চোর, ডাকাত এবং রেপিস্টদের অস্ট্রেলিয়াতের দ্বীপান্তরে পাঠানো হতো।
বিআলো/শিলি